ঢাকাসোমবার , ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ

অনলাইন ভার্সন
ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২১ ১১:২৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে জীবননগর উপজেলা শহরের হাসপাতাল সড়কে অবস্থিত বিএনপির অফিসে এ হামলা চালানো হয়। এসময় চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, দাহ্য জাতীয় পদার্থ নিক্ষেপ করে পোস্টার ও ব্যানারে আগুন দেয়া হয়েছে।

এ ঘটনার পর বিএনপি নেতা তাজুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালিয়ে গালিগালাজ ও বাসস্ট্যান্ডের মুরগি বাজারে শক্তিশালী দুটি পটকা ছুড়ে মারা হয়েছে। নির্বাচনী মাঠ থেকে বিএনপির মেয়র প্রার্থীকে বিতাড়িত করতে ভীতিকর এ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।

উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম জানান, রাতে জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহজাহান কবীরকে নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে নির্বাচনী সভা করছিলেন। এসময় ৪০-৫০টি মোটরসাইকেল যোগে বেশ কিছু যুবক জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বিএনপি অফিস লক্ষ্য করে বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।

এসময় আতঙ্কিত হয়ে বিএনপি অফিস বন্ধ করার চেষ্টা করতে থাকলে হামলাকারী ওই যুবকেরা অফিসে রক্ষিত ১৫-২০টি চেয়ার ভাঙচুর এবং যাওয়ার সময় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে বেশ কিছু চেয়ার নিয়ে চলে যায়। এ ঘটনার ১৫-২০ মিনিট পর সারটার খুললে হামলাকারীরা পুনরায় ফিরে এসে পোস্টার ও ব্যানারে আগুন লাগিয়ে দেয়। এসময় তারা বিএনপি বিরোধী স্লোগান দেয় এবং নানা রকম হুমকি-ধামকি দিয়ে চলে যায়।

তিনি আরও জানান, পরে আমার পোস্টঅফিস পাড়ার বাসাতে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা রামদা ও হাঁসুয়া উঁচিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হুমকি প্রদর্শন করে। পরবর্তীতে বাসস্ট্যান্ডের মুরগি বাজারে শক্তিশালী ভারতীয় পটকা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করে তারা।

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহজাহান কবীর জানান, আমাকে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দিতে ওই হামলা চালানো হয়েছে। তারা জোরপূর্বক ভোটে জয়লাভের চেষ্টা করছে।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, ভাঙচুরের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তবে পেট্রোল বোমা মারার কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্তপূর্বক দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে জীবননগর পৌরসভা নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম মুনিম লিংকন জানান, ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

জেএন

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।