সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকারবিবার , ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন রহস্যময় ‘ব্ল্যাক হোল’!

অনলাইন ভার্সন
ডিসেম্বর ১৭, ২০১৭ ১০:০২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: চিলির লাস ক্যাম্পানাসে অবস্থিত মানমন্দির থেকে সম্প্রতি একটি প্রাচীন রহস্যময় ব্ল্যাক হোলের সন্ধান নিশ্চিত করেন জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডুয়ার্ডো ব্যানাডোস।

মহাবিশ্বের যেটুকু অংশ পৃথিবী থেকে পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব, তার ঠিক শেষ সীমায় ব্ল্যাক হোলটির অবস্থান। এটি পৃথিবী থেকে প্রায় ১৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত। ব্ল্যাক হোলটি সূর্যের চেয়েও ৮০ কোটি গুণ ভারী। অতীতের গবেষণায় পাওয়া অন্য সব ব্ল্যাক হোলের তুলনায় এটি সবচেয়ে প্রাচীন। এটি তৈরি হয়েছিল মহাবিশ্ব তৈরির একদম সূচনালগ্নে।

এ ব্ল্যাক হোলের মাধ্যমে মহাবিশ্বের সূচনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা সম্ভব হবে বলে মনে করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।

বলা হচ্ছে, ‘বিগ ব্যাং’র পর বড়োজোর ৬৯ কোটি বছর পর এ ব্ল্যাক হোলটি সৃষ্টি হয়েছে। এসময় মহাবিশ্বের বয়স ছিল বর্তমান বয়সের মাত্র পাঁচ শতাংশ। তখন বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সবে সংগঠিত হতে শুরু করেছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এ সময়টার নাম দিয়েছেন ‘অন্ধকার যুগ’।

বিগ ব্যাংয়ের কয়েক কোটি বছর পর অন্ধকার যুগের সূচনা হয়েছিল। তখনও কোনো ছায়াপথ, নক্ষত্র বা সুপারনোভা সৃষ্টি হয়নি। মহাবিশ্বজুড়ে বিরাজ হয়েছিল অবয়বহীন হাইড্রোজেন গ্যাস। কয়েক কোটি বছর এমন পরিস্থিতি বজায় ছিল।

নতুন আবিষ্কৃত ব্ল্যাক হোলটি একটি ছায়াপথের কেন্দ্রে অবস্থান করছে এবং এর আশেপাশের সব গ্রহ-উপগ্রহ অনেক দ্রুত গ্রাস করে ফেলেছে।

জ্যোতির্বিজ্ঞানী এডুয়ার্ডো ব্যানাডোস বলেন, ‘মহাবিশ্বের বয়স যদি হয় ৫০ বছর, তবে আমরা এর আড়াই বছর বয়সের ছবি দেখছি। বিগ ব্যাংয়ের এতো অল্প সময়ের মধ্যেই কীভাবে একটা ব্ল্যাক হোল সৃষ্টি হলো, তা আশ্চর্যই বলতে হবে’।

ব্যানাডোস আরও জানান, মহাবিশ্বের ইতিহাসের এতো প্রাচীন কোনো বস্তুর সন্ধান পেতে অর্ধযুগেরও বেশি সময় ধরে অনুসন্ধান চালাতে হয়েছে।

আবিষ্কৃত ব্ল্যাক হোলটি মহাবিশ্বের সূচনালগ্ন সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর জানাতে পারে বলে তিনি মনে করেন।

খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।