ঢাকারবিবার , ৯ জুন ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দেশে হত্যা, ধর্ষণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যার হিড়িক চলছে: রিজভী

অনলাইন ভার্সন
জুন ৯, ২০১৯ ১:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক: দেশে হত্যা, ধর্ষণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যার হিড়িক চলছে, দিনে গড়ে ৫জন করে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

আজ রোববার সংবাদ মাধ্যম পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশ-বিদেশের মানুষ জানে বাংলাদেশে চলছে গণতন্ত্রের এক অন্ধকারময় পর্ব। এখানে সুষ্ঠু নির্বাচনকে নিরুদ্দেশ করা হয়েছে। মানুষের বাক-স্বাধীনতা নেই। দেশে হত্যা, ধর্ষণ ও বিচারবহির্ভূত হত্যার হিড়িক চলছে। শুধু মে মাসের প্রথম ৮ দিনেই ৪১ শিশু ধষণের শিকার হয়েছে। প্রতিদিন গড়ে ৫জন মানুষ বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হচ্ছেন। হত্যা, ধর্ষণের মতো গুরুতর অপরাধের ঘটনাগুলো সমাজে, গণমাধ্যমে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড়ের সৃষ্টি হলেও সরকারের টনক নড়েনা।

তিনি বলেন, চরম মিথ্যাচার আওয়ামী লীগ ও সরকারে পদোন্নতির একমাত্র মাপকাঠি। আওয়ামী লীগে ব্যক্তির যোগ্যতা ও মেধার ইন্টিগ্রেটির কোন বালাই নেই। আওয়ামী লীগ নেতাদের মনস্তত্ব বিশ্লেষণে যেটি পাওয়া যায় তা হলো ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ড, চরম মিথ্যাচার, অপরাধ করেও অনুশোচনাহীনতা, পরজীবীর মতো আচরণ, ব্যর্থতার দায় নিতে অপরগতা। তথ্যমন্ত্রী একবার মন্ত্রীত্ব খুইয়ে এবারে মন্ত্রীত্ব পেয়েছেন শুধুমাত্র অবান্তর, অবিরল, মিথ্যাচারের প্রতিভা প্রমাণ করে।

রিজভী আহমেদ বলেন, বিএসএমএমইউ একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া। ঐ এলাকায়তো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ গোয়েন্দাদের সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকার কথা। যেখানে সরকারি অনুমোদন ছাড়া কাকপক্ষিও ঢুকতে পারেনা। সেই বিএসএমএমইউতে বোমা সদৃশ্য বোতল উদ্ধারের ঘটনায় তথ্যমন্ত্রী এখন বিএনপি’র যোগসূত্র খুঁজছেন।

এইজন্যই বলেছি যে, আওয়ামী নেতারা চরম মিথ্যাচার দিয়ে নিজেদের ষড়যন্ত্র ঢাকতে পারঙ্গম। তথ্যমন্ত্রীর তো ভুলে যাওয়ার কথা নয় শেরাটনের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ থেকে শুরু করে বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে সারাদেশে গাড়িতে পেট্রোল বোমা হামলা কারা করেছিল, বিহঙ্গ গাড়িতে পেট্রোল হামলা কারা করেছিল যা পরবর্তীতে আওয়ামী নেতারাই স্বীকারোক্তি দিয়েছেন, এ স্বীকারোক্তির কথাটা তথ্যমন্ত্রী তার বক্তব্যে উল্লেখ করলেন না কেন?

তিনি বলেন, নরসিংদী রোডের বিআরটিসি বাস আজিমপুরে নিয়ে অগ্নিসংযোগ করে ছিল কারা? এসব করেছিল যারা তারা সবাই আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ও রাষ্ট্রযন্ত্র -যা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত। নারায়নগঞ্জে পেট্রোল বোমা হামলায় যুবলীগ নেতারা কিভাবে আটক হয়েছিল, রাবিতে ছাত্রলীগ কিভাবে বোমা হামলার স্বীকারোক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করেছিল। সুতরাং পেট্রোল-বোমা কালচার আওয়ামী লীগের আবিষ্কৃত কালচার, সেটা তথ্যমন্ত্রী এড়িয়ে গেলেও দেশবাসী ঠিকই জানেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, গত বছর নির্বাচনকে ঘিরে দেশজুড়ে গায়েবি মামলা, মৃতব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা, পক্ষঘাতগ্রস্ত ব্যক্তির নামে মামলা, পবিত্র হজব্রত ব্যক্তির নামে মামলায় প্রমাণিত হয়েছে আওয়ামী লীগ নিজেরা অপকর্ম করে অন্যের উপর দায় চাপায়। বিএসএমএমইউতে পেট্রোল বোমা সদৃশ্য বোতলও ক্ষমতাসীন মহলের ষড়যন্ত্রের অংশ এবং এটা কী উদ্দেশ্যে করা হয়েছে এটাও দেশবাসীর কাছে পরিষ্কার। সুতরাং জনগনের উপর জবরদস্তি করে মিথ্যা কথার মায়াজাল বিস্তার করা যায় না। মিডনাইট নির্বাচন, নাগরিক স্বাধীনতা হরণ, রক্তপাতের সংস্কৃতি চালু রেখে আওয়ামী নেতাদের প্রাত্যহিক জীবন থেকে সৌজন্যবোধ ও হিতাহিত জ্ঞান লোপ পেয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ক্ষমতাসীনদের আস্কারাতেই অপরাধীরা শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে যাচ্ছে। তার একটি বড় প্রমাণ ফেনীর নুসরাত জাহানের হাত-পা বেঁধে পুড়িয়ে মারার সাথে যারা প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে জড়িত তাদের একজন ফেনীর সোনাগাজি থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোয়াজ্জেম হোসেন। পরোয়ানা থাকার পরও ওই ওসি এখন পর্যন্ত ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে। অতএব মন্ত্রীরা চাকরি রক্ষায় বিবৃতি দিলেও দেশের অবস্থা ভয়ঙ্কর ও বিপজ্জনক।

খবর২৪ঘণ্টা, জেএন

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।