ঢাকামঙ্গলবার , ১৫ মার্চ ২০২২
আজকের সর্বশেষ সবখবর

দাদা-দাদির কবরের পাশে শায়িত হলেন হাদিসুর

খবর২৪ঘন্টা ডেস্ক
মার্চ ১৫, ২০২২ ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ইউক্রেনে রকেট হামলায় নিহত বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে দাদা-দাদির কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল দশটায় হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজ পড়িয়েছেন হাদিসুরের চাচা মাওলানা মনিরুল ইসলাম।

নামাজ শেষে বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের কদমতলা গ্রামের বাড়িতে দাদা মোতাহার হোসেন হাওলাদার ও দাদী রোকেয়া বেগমের কবরের পাশে সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে হাদিসুরের মরদেহ দাফন করা হয়।

গতকাল সোমবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটের সময় হাদিসুরের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।

হাদিসুরের বাড়িতে চলছে আত্মীয়-স্বজনের আহাজারি। বাবা আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার হয়ে পরেছেন বাকরুদ্ধ। মা আমেনা বেগম মুর্ছা যাচ্ছেন বারবার। একমাত্র বোন সানজিদা আক্তার শম্পার আর্তনাদ থামাতে পারছেনা কেউ। মেঝ ভাই তারেক গড়াগড়ি যাচ্ছেন মাটিতে। ছোট ভাই গোলাম মাওলা প্রিন্স চিৎকার করে বলছে আমার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলতে গিয়ে তুই চিরতরে হারিয়ে গেলি।

গতকাল সোমবার (১৪ মার্চ) দুপুর ১২টা ৩ মিনিটে ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে রকেট হামলায় নিহত ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’র থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের মরদেহ ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে বোলা সোয়া একটায় মরদেহ নিয়ে গ্রামের বাড়ি বেতাগীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়ে রাত ৯টা ৪০ মিনিটে পৌঁছেছে।

২০১৮ সালে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে হাদিসুর চাকরি নিয়েছে। নভেম্বর মাসে হাদিসুরের বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। হাদিসুরের টাকায় তাদের সংসার চলছিলো। তার ছোট ২ ভাই এখনো পড়াশোনা করছে। হাদিসুরের মৃত্যুতে ২ ভাইয়ের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আবদুর রাজ্জাক হাওলাদারের দাবি তার ছেলেকে সরকারি চাকরি দেওয়া হোক।

চলতি মাসের ২ তারিখে ইউক্রেনে বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। ৩ মার্চ অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে ২৮ নাবিককে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের নিরাপদ বাঙ্কারে রাখা হয়। সেখান থেকে তাদের প্রথমে মলদোভা, পরে রোমানিয়া নিয়ে আসা হয়। গত ৯ মার্চ ২৮ নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

চলতি মাসের ২ তারিখে ইউক্রেনে ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজে রকেট হামলায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা যান। ৩ মার্চ অক্ষত অবস্থায় জাহাজটি থেকে ২৮ নাবিককে সরিয়ে নেওয়া হয়। পরে তাদের নিরাপদ বাঙ্কারে রাখা হয়। সেখান থেকে তাদের প্রথমে মলদোভা, পরে রোমানিয়া নিয়ে আসা হয়। গত ৯ মার্চ ২৮ নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।

ইউক্রেন থেকে ২৮ নাবিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হলেও হাদিসুরের মরদেহ আনা সম্ভব হয়নি। তার মরদেহ ইউক্রেনে ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছিল। ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে ২৮ জন নাবিক নিয়ে আটকা পড়েছিল ‘বাংলার সমৃদ্ধি’। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের এই জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছায়। জাহাজটি ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে, যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার পর তারা আটকে পড়েছিলেন।
বিএ/

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।