ঢাকাশুক্রবার , ৩০ এপ্রিল ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ছুটির দিনেও রাজশাহীর মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়, তোয়াক্কা নেই স্বাস্থ্যবিধির!

khobor
এপ্রিল ৩০, ২০২১ ৭:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সাপ্তাহিক সরকারী ছুটির দিনেও রাজশাহী মহানগরীর মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। বাজারে আসা মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্বের তোয়াক্কা করতে দেখা যায়নি। শরীরের সাথে শরীর ঘেঁষেই কেনাকাটা করেছেন তারা। যদিও নগরের বড় বড় দুই/একটি মার্কেটে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি ও মাস্ক পরিধান করার ব্যাপারে সচেতনতায় প্রচারণামূলক মাইকিং করা হয়। তবে ক্রেতারা এ বিষয়টিকে ভ্রæক্ষেপ করছেন না। তারা স্বাভাবিক সময়ের মতো কেনাকাটা ও চলাফেরা করছেন। বিক্রেতাদের মধ্যে বেশির ভাগ দোকানী ও কর্মচারীকে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি। ছুটির দিন হওয়া স্বত্বেও সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ব্যাপক মানুষের সমাগম ছিল মার্কেটগুলোতে। দূরপাল্লার গাড়ী ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল করার কারণে স্বাভাবিক চেহারায় ফিরতে শুরু করেছে শিক্ষানগরী রাজশাহী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকানপাট ও মার্কেট খোলার অনুমতি দেয়। এ ঘোষণার পর রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলার মার্কেটগুলোতে দোকানপাট খুলে দেয়া হয়। শুরুর দিন মার্কেটে কম ক্রেতা থাকলেও ২/১ দিনের মধ্যে বাজারে ভিড় বাড়তে থাকে। শুরু থেকেই ক্রেতারা স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই কেনাকাটা করে। এমনকি বিভিন্ন দোকানে ভিড়ের মধ্যেই ঠেলাঠেলি করে নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটা করতে থাকেন তারা। এভাবেই কয়েকদিন ধরে চলছে।
ইতিমধ্যেই ১৬ তম রোজা পার হয়েছে। বছরের অন্য সময়গুলোতে সাপ্তাহিক সরকারী ছুটির দিন রাজশাহী মহানগরের মার্কেট ও দোকানপাট বন্ধ থাকলেও এদিন দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। এদিন নগরের প্রায় বড় বড় মার্কেট ও শপিং মল খোলা ছিল। মার্কেট খোলা থাকায় সকাল থেকেই ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় ছিল। নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টের বিভিন্ন মার্কেট, কাপড়পট্টি ও নগরের অন্যতম প্রধান মার্কেট আরডি মার্কেটে ক্রেতা ছিল চোখে পড়ার মতো। অন্যান্য দিনের তুলনায় এদিন অনেক বেশি ক্রেতা দেখা যায়। ক্রেতারা যে যার মতো ঠেলাঠেলি করে কেনাকাটা করেন। প্রত্যেকটি মার্কেটেই ছিল মানুষের ব্যাপক সমাগম। ক্রেতাদের মধ্যেই অনেককে মাস্ক পরে থাকতে দেখা গেলেও বিক্রেতাদের বেলায় ছিল একেবারে ভিন্ন অবস্থা। কারণ বিক্রেতারা অধিকাংশই মাস্ক ছাড়া দোকানো বেচাকেনা করছেন। এ ব্যাপারে কাউকে তেমন সচেতনতায় কাজ করতে দেখা যায়নি। ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে প্রচারণা চালাতে দেখা গেছে। অধিকাংশ রোজা পার হয়ে যাওয়ায় পবিত্র ঈদুল ফেতরকে কেন্দ্র করে ক্রেতারা কেনাকাটা করতে বের হচ্ছেন। এখন ছিট কাপড় খুব বেশি বিক্রি না হলেও তুলনামূলক ভালো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বর্তমানে তৈরি পোশাক বেশি বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার দুপুরের আগে মার্কেট ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

আরডি মার্কেটের প্রধান ফটক

এদিকে, নগরের অন্যান্য মার্কেটগুলোর মধ্যে নিউমার্কেট, হড়গ্রাম নিউ মার্কেটেও ছিল ক্রেতাদের ভিড়। এ মার্কেটগুলোতেও তেমন স্বাস্থ্যবিধি মানার তোয়াক্কা করা হয়নি। শরীরের সাথে শরীর ঘেঁষেই চলে কেনাকাটা। ছুটির দিনে কেনাকাটা করতে আসা আব্দুল্লাহ নামের এক ব্যক্তি বলেন, অন্যান্য দিন তেমন ফ্রি থাকা যায়না। তাই ছুটির দিন হওয়ায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছি। তাদের পছন্দ অনুযায়ী কেনাকাটা করে ফিরবো। এবার জিনিসপত্রের দাম কেমন জানতে চাইলে তিনি বলেন, অন্য সময়ের তুলনায় এবার একটু দাম বেশি। তারপরও দাম দর করে কেনা হয়েছে। সারিকা নামের এক নারী ক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঈদে ছেলেমেয়েদের জন্য নতুন পোশাক কিনতেই করোনা পরিস্থির মধ্যে আসা। নতুন পোশাক না পেলে ঈদটা কেমন জানি লাগেই তাই আসা। দামের ব্যাপারে তিনিও বলেন, এবার একটু বেশি মনে হচ্ছে। বেচাকেনা কেমন হচ্ছে সে ব্যাপারে বিক্রেতাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, ছুটির দিন হওয়ার পরও তুলনামূলক ভালোই বেচাকেনা হচ্ছে। রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকার কারণে ইফতারের আগেই যা হয় তাই। পরে খুব বেশি একটা হয়না। এ কয়দিন বেচাকেনা ভালো হলে লোকসান কিছুটা পুষিয়ে নেয়া যাবে।

এস/আর

 

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।