এমএ মাসুদ, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সবচেয়ে বড় ও ঐতিহ্যবাহী মীরগঞ্জ হাটে ধান হাটী আছে কিন্তু এখন উঠে না কেবল ধান। এতে করে একদিকে যেমন মীরগঞ্জ হাটের চারপাশের কমপক্ষে ৬/৭ কি.মি. এলাকার কৃষক ধানের ন্যায্যমুল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অন্যদিকে তেমনি সরকারও বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিগত ১০/১৫ বছর থেকে ঐতিহ্যবাহী এ হাটে এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ধান বিক্রয় করতে পারছেন না। কারণ অনুসন্ধানে জানা যায়, স্থানীয় দালাল ও ফড়িয়াদের দৌড়াত্বের জন্য আজ এর মাসুল গুণতে হচ্ছে এলাকার সাধারণ কৃষকদেরকে। দালাল ও ফড়িয়ারা দামে
কম এবং ওজনে কারচুপির মাধ্যমে কৃষকদেরকে ঠকাতেন এর প্রতিবাদ করলে মারপিটেরও স্বীকার হতেন কৃষকরা। এক পর্যায়ে বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলের কৃষকগণ এ হাটে ধান নিয়ে আসা বন্ধ করলে এ অবস্থার সৃষ্টি হয় বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এ সুযোগে এলাকার দালাল ও ফড়িয়ারা ইচ্ছেমত ধানের দাম নির্ধারণ করে ধান ক্রয়ের মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে কৃষকদের সাথে প্রতারণা করে আসছে।
এ নিয়ে কথা হলে জনৈক এক কৃষক বলেন, ‘‘এমনি ৪’শ টাকাতেও ধান নেয় না, তার পরও ১মণ ধান বিক্রি করতে গেইলেও ব্যাপারী ছাড়া উপায় নাই। আগে মীরগঞ্জ হাটত যতকোনা ধান বিক্রি করা দরকার ততকোনা বিক্রি করি তাগদা সারবার পাছনো। এলা সে সুযোগও হামার নাই। আর ধান আবাদ
করবার নই।” খাদ্যগুদামে কৃষকদের নিকট থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করা হচ্ছে এমন কথা বলতেই তিনি হেসে বলেন, ওরা দালাল ছাড়া ধান নেয় না। ঐতিহ্যবাহী এ হাটটিতে কৃষকদের ধান বিক্রয়ের সুযোগ দেয়া গেলে দালাল ও ফড়িয়াদের শোষণের হাত থেকে অনেকটাই মুক্তি পেতেন এলাকার সাধারণ কৃষক- এমনটাই মনে করেন, অভিজ্ঞ মহল।
আর/এস