সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে আশ্রিত অজ্ঞাতনামা এক যুবকের মরদেহ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফনের জন্য আঞ্জুমান-ই মফিদুল ইসলাম’র নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
জানা যায়, বুধবার অজ্ঞাত যুবকের মরদেহের ময়না তদন্ত শেষে আঞ্জুমান-ই মফিদুল ইসলামের নিকট থানা পুলিশের পক্ষে থেকে হস্তান্তর করেন বামনডাঙ্গা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই জহুরুল ইসলাম। এরআগে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ (নয়া পাড়া) গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের স্ত্রী বৃদ্ধা রেহেনা বেগমের শয়ন ঘর থেকে অজ্ঞাত ঐ যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে সুরুতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত পূর্বক মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠান।
এব্যাপারে এসআই জহুরুল ইসলাম জানান, গত সোমবার রাতে বৃদ্ধা রেহেনা বেগম বামনডাঙ্গাস্থ হল মোড় নামক বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় ঐ যুবক বৃদ্ধার বাড়িতে থাকার জন্য আশ্রয় চেয়ে নিবেদন করে। একপর্যায়ে যুবকের অনুরোধে বাধ্য হয়ে রেহেনা বেগম তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নাতি সাগর মিয়ার (১০) সঙ্গে আলাদা ঘরে থাকতে দেন। সকালে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দিলে আশ্রিত ও অজ্ঞাত ঐ
যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, অজ্ঞাতনামা ঐ যুবকের বয়স হবে আনুমানিক ২৪ বছর, গায়ের রং শ্যামলা, উচ্চতা ৫ ফুট ৪ ইঞ্চি, পরনে ছিল জিন্সের প্যান্ট ও প্রিন্টের গোল গলা গেঞ্জি। বিধবা রেহেনা বেগমের তিন মেয়ে ও দুই ছেলে। মেয়েরা সবাই স্বামীর বাড়িতে ও ছেলেরা কাজের সন্ধানে বাইরে থাকেন। বৃদ্ধা রেহেনা বেগম নাতী সাগর মিয়াকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন। যুবকের ঠিকানা বা ওয়ারিশ না পাওয়ায় পরিশেষে বেওয়ারিশ হিসেবে তার মরদেহ আঞ্জুমান-ই-মফিদুল ইসলাম’র নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।
থানা অফিসার ইনচার্জ এসএম আব্দুস সোবহান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান. এব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা করেছেন।
এস/আর