খবর২৪ঘণ্টা,আন্তর্জাতি ডেস্ক: পাকিস্তানে রবিবার দ্বিতীয় দিনের মতো সংঘর্ষ চলছে। এতে এ পর্যন্ত ছয় জন নিহত হয়েছে।
প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৯৩ সদস্যসহ আহত হয়েছে প্রায় ২৫০ জন। এর মধ্যে পুলিশের নয় জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও আছেন।
প্রায় ১৫০ জন আন্দোলনকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এতে পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। প্রতিরক্ষা বাহিনী আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে রাবার বুলেট-কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে। আন্দোলনকারীরাও প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। তারা পাথর ছুড়ছে এবং মেটাল রড দিয়ে আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করছে। তারা পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।
ব্ল্যাসফেমি বিষয়ে এক প্রাদেশিক মন্ত্রীর করা মন্তব্যের প্রতিবাদে গত ৬ নভেম্বর থেকে রাজপথে অবস্থান দিয়ে আন্দোলনকারীরা।
ঝামেলা মেটাতে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দফায় দফায় বসেন সরকারি নেতারা। শনিবার থেকে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ শুরু হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আট হাজার ৫০০ নিরাপত্তা কর্মী কাজ করছেন। পরিস্থিতির কমেই অবনতি হওয়ায় সেনাবাহিনীকে ইসলামাবাদে আসার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ইসলামাবাদ, করাচি, রাওলপিণ্ডি, পেশোয়ারের মতো বড় শহরগুলোতে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। তারা শনিবার দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চৌধুরী নিসার আলীর বাড়িতেও আক্রমণ চালিয়েছে। মূল গেটে ভেঙে ফেলে ভেতরে ঢুকে তারা আগুন লাগিয়ে দেয়।
এ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে তেহরিক-ই-লিবাইক। সংঘর্ষের পেছনে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের মদদ আছে বলে দাবি করেছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এহসান ইকবাল।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ