খবর২৪ঘণ্টা.কম: পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা হওয়ার পরও অতিরিক্ত সম্পত্তি দখল নেয়ার জন্য ছোট ভাই বড় ভাই ও তার পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লাল মোহন থানার রমাগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা সচিন্দ্র চন্দ দাস, তারা ৭ ভাই। তাদের পিতা মারা যাবার আগে তাদের সাত ভাইয়ের নামে সমস্ত সম্পত্তি ভাগ করে দিয়ে যায়। তাদের পিতা মারা যাবার পর তিন ভাইয়ের সম্পত্তি বড় ভাই সচিন্দ্র চন্দ্র দাস এর নিকট বিক্রি করে ভারত চলে যায়। আর বাকিরা দেশেই থাকে। দীর্ঘদিন পার হওয়ার পর ছোট ভাই সন্তুষ চন্দ্র দাস, বড় ভাই সচিন্দ্র চন্দ্র দাস এর সম্পত্তিতে তার আরও ভাগ আছে বলে দাবি করে। এবং বেশ কিছু সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল করে নেয়। এ নিয়ে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও লোকাল থানায় বেশ কয়েকবার বিচার শালিশও করা হয়।
কিন্তু এর কোন প্রতিকার পাওয়া যায়নি। আরও জানা যায়, সন্তুষ চন্দ্র ও তার ছেলে নারায়ন চন্দ্র একটু খারাপ প্রকৃতির লোক। গ্রামের বখাটে ছেলেদের ও স্থানীয় কিছু নেতাদের সাথে তাদের সুসম্পর্ক থাকায় তারা কাউকে কোন প্রকার তোয়াক্কা করে না। এ নিয়ে সর্বশেষ গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রোজ বুধবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ আবার গ্রামে একটি শালিশী করা হয় এবং দুই পক্ষের কাগজপত্র দেখে তারা কাগজপত্রে সম্পত্তির মালিক সচিন্দ্র চন্দ্র দাস প্রমানিত হওয়ায় স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সন্তুষ চন্দ্র ও তার ছেলে নারায়নচন্দ্রকে সাবধান করে দেয়। যাতে ভবিষ্যতে এ নিয়ে কোন প্রকার ঝামেলা না করে। এতে করে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রোজ
শনিবার বেলা আনুমানিক ১২ টার সময় সন্তোষ ও তার ছেলে নারায়ন চন্দ্র সাথে আরো ১৫/২০জন একত্রিত হয়ে লাঠিসুটা ও ধারাল অস্ত্র নিয়ে সচিন্দ্র দাসের বাড়িতে হামলা চালায় এবং তাদেরকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। গ্রামবাসির কারণে তারা প্রাণে বেঁচে যায়। কিন্তু গুরুতর আহত হয় সচিন্দ্র এর ছেলে রঞ্জিত ও মেয়ে অপর্ণা রাণী। বর্তমানে ছেলে রঞ্জিত লাল মোহন সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। হাসপাতালের ডাক্তার জানান তার অবস্থা বেশি ভাল না।
এ ব্যাপারে সচিন্দ্র চন্দ দাস লাল মোহন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন, লাল মোহন থানার ওসি মীর খাইরুল কবির সাংবাদিকদের জানান আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে, তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তদন্তের পরে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপরাধী যে-ই হোক না কেন তাকে ছাড় দেয়া হবে না।
জেএন