জেলা প্রতিনিধিঃ বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জে বোন শারমিন হত্যা মামলার বাদী সুমন ঘরামীকে গাজীপুরের কোনাবাড়ি সংলগ্ন শালবনে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের খোরশেদ ঘরামীর ছেলে।
গতকাল শুক্রবার শালবন থেকে তার লাশ উদ্ধারের পর মর্গে ময়না তদন্ত শেষে আজ শনিবার তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। সে গাজীপুরের কোনাবাড়ি থেকে ঝুটের ব্যবসা করত।
নিহত সুমনের ছোট ভাই মো. সুজন ঘরামী জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঝুটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে শালবণ সংলগ্ন বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয় সুমন। সেই রাতে তিনি (সুজন) বাসায় ফিরে পরিবারের কাছে সুমনের কথা জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায় সে (সুমন) বাড়ি আসেনি। এরপর বিভিন্ন স্থানে তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে সকল আত্মীয়স্বজনকে বিষয়টি অবহিত করেন।
গতকাল শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে বাড়ি সংলগ্ন শালবনের ভিতর একটি লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে সুমনের লাশ সনাক্ত করেন। এ সময় তার গলায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গেছে। এ ঘটনায় তাদের বোন হত্যাকারীদের দায়ী করে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করার কথা বলেন তিনি।
জয়দেবপুর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, সুমনকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার লাশ শালবনের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছে বলে সন্দেহ করছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত শেষে গতকাল শনিবার তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
উল্লেখ্য, মেহেন্দিগঞ্জ পৌরসভার কালিকাপুর ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত কাউন্সিলর বেগম দিলুর ছেলে সুমন যৌতুকের দাবীতে স্ত্রী শারমিনের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। দাবীকৃত যৌতুকের টাকা না পেয়ে দুই সন্তানের জননী শারমিনকে পুড়িয়ে হত্যা করে তার স্বামী। এ ঘটনায় শারমিনের ভাই সুমন ঘরামী বাদী হয়ে শারমিনের স্বামী সুমন, তার বাবা-মা এবং বোন-ভগ্নিপতিকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সুমনকে গ্রেফতার করে কারাগারে প্রেরণ করে পুলিশ। সম্প্রতি সুমন কারাগার থেকে বের হয়ে মামলা তুলে নেয়ার জন্য আসামী বাদী সুমনকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ