খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসে এক বন্দির মৃত্যুর পর সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের আরও তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে সিলেটে কারাগারে করোনা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
আক্রান্তদের মধ্যে দুই কারারক্ষী ও এক কারা-সহকারী রয়েছেন।সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষার পর তাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আক্রান্তরা আগেই কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। বুধবার (২০ মে) হয়তো তাদেরকে আইসোলেশনে নেয়া হবে।
করোনাভাইরাসে এক বন্দি মারা যাওয়ার পর শনিবার (১৬ মে) সিলেট সিভিল সার্জনের একটি টিম কারাগারের ১৮ কর্মকর্তা-কর্মচারীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে পাঠায়।
১০ মে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের এক বন্দি শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারে মারা যান। মৃত্যুর পরদিন সোমবার (১১ মে) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিপিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।
আহমদ হোসেন (৫৫) নামের ওই ব্যক্তি কানাইঘাট থানার একটি খুনের মামলায় গত দুই মাস ধরে কারাগারে ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কানাইঘাটের দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের ঘড়াইগ্রামে। মৃত্যুর পর তার মরদেহ নেয়নি পরিবার। পরে নগরের মানিকপীর টিলায় স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী তাকে দাফন করা হয়।
কারা সূত্র জানায়, গত ৫ মার্চ একটি খুনের মামলায় জেলে যান কানাইঘাটের আহমদ হোসেন। এরপর ৮ মে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে কারা কর্তৃপক্ষ তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। করোনার উপসর্গ থাকায় ওসমানী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের করোনা আইসোলেশন সেন্টারে পাঠায়।
৯ মে তার নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। ১০ মে তার মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার পরদিন তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর তার সংস্পর্শে আসা শতাধিক কারাবন্দি ও কর্মকর্তাকে কোয়ারেটাইনে পাঠানো হয়।
খবর২৪ঘন্টা/নই