নিজস্ব প্রতিবেদক : জনস্বার্থে আজ মঙ্গলবার থেকে প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও ঔষধের দোকান ছাড়া মার্কেট ও শপিংমল বন্ধের সিদ্ধান্তের পর আবারও ঢাকায় পড়েছে নগরীর রাস্তাঘাট ও দোকানপাট। আজ মঙ্গলবার গত কয়েকদিনের মত রাজশাহী মহানগরীর কোন দোকানপাট ও মার্কেট খোলা ছিল না। বন্ধ ছিল বিভিন্ন শোরুমে দোকান ও। তবে অনেকেই মার্কেট করতে এসে ঘুরে যেতে দেখা গেছে। এদিন সেনাবাহিনীর সদস্যদের কঠোর অবস্থানে থাকতে দেখা গেছে। সেনাবাহিনীর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় টহল দিয়েছেন। অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যরা মানুষকে অনুরোধ জানান।
কঠোর অবস্থানের কারণে অন্যান্য দিনের মতো কোন দোকানপাট ও মার্কেট খোলা দেখা যায়নি। এ দিন মানুষের চলাচল ছিল অন্যদের তুলনায় অনেক কম। উল্লেখ্য, লকডাউন শিথিল করে চলতি মাসের ১০ মে থেকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে মার্কেট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে সরকার। এরপর যৌথ সভা করে রাজশাহীর সকল দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়৷ তবুও কিছু উদ্যোগ দোকানের মালিক ও ব্যবসায়ী সিদ্ধান্ত না মেনে দোকানপাট খুলে। তার কিছুদিন পর আবার সভা করে মার্কেট ও দোকান পাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধিরা।
সেই সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেও রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন মার্কেট দোকানপাটও শপিংমল খুলে ব্যবসা-বাণিজ্য শুরু করে ব্যবসায়ীরা। আর ঈদের কেনাকাটা করার জন্য মহানগরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোকজন ভিড় জমায়। কোন দোকানে স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মানা হচ্ছিল না। এ সংক্রান্ত খবর বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়। এরপর গতকাল সোমবার কোর কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ বুধবার থেকে রাজশাহী সকল মার্কেট ও দোকান পাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ সিদ্ধান্তের পরে আজ বুধবার থেকে আবার ও সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মহানগর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে। রাজশাহী মহানগর নাই জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল থেকে রাজশাহী জেলা অনন্তকালের জন্য লোকজন অবস্থায় রয়েছে।
এমকেভ