তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোরে আমনের ক্ষতি পুশিয়ে নিতে ইতিমধ্যে নিচু জমিতে বোরা চাষ আবাদ শুরু হয়েছে। জমি প্রস্তুত করতে মাঠে ব্যাস্ত সময় পার করছেন উপজেলার কৃষকরা। জমিতে পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, বীজচারা উঠানো ও প্রস্ততকৃত জমিতে চারা রোপণ করার প্রতিযোগীতায় নেমেছে এখানকার কৃষকরা।
গত মৌসুমের আমন ধানের লোকশান পুশিয়ে নিতে ও বাজারে ধানের দাম ভাল থাকায় এবার এ উপজেলার কৃষকরা বোরা আবাদে আগ্রহ বেড়েছে। তারা আমনের লোকশানের কথা ভুলে গিয়ে প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যে ও কোমর নেমেছেন বোরা ধান রোপন করতে।
গত আমন মৌসুমে ধানের ফলন কম হলেও প্রতি মণ ধান বিক্রয় করেছে ৯৫০ টাকা হইতে ১০০০ টাকায়।
তানোর পৌর এলাকার তালন্দ গ্রামের কৃষক মামুন, সমাসপুর গ্রামের রেজাউল, হরিদেবপুর গ্রামের কৃষক রিপন,কমারগাঁ ইউপির চেয়ারম্যান মোসলেম উদ্দিন, কামারগাঁ গ্রামের জাকির হোসেন জুয়েল, জানান, কাল্ড ইনজুরিতে পচন লেগে বোরা বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। তারা আরো বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় আনেক বোরা বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে।
তবে মৌসুমে ব্রী জাতের আঠাশ, ব্রীধান ৫১, জিরাশাইল ধানের ফলন ও বাজার মূল্য ভাল পাওয়ায় চলতি বোর মৌসুমে ও এগুলো ধানের আবাদ করতে আগ্রহী বেশি এখানকার কৃষকরা।
এনিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম জানান, এ বছর উপজেলায় বোর মৌসুমে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে উচ্চ ফলন শীল বোরা আবাদের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৫৭০ হেক্টর নিচুঁ জমিতে বোরা ধান রোপন করা হয়েছে। তবে রবি মৌসুমে আলুর আবাদ বেশি হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার বোরা আবাদ কম হবে বলে তিনি জানান। বোর বীজতলা নষ্টের জানতে চাইলে তিনি জনান, আমরা কৃষকদের বিভিন্ন কীটনাশক ব্যবহার ও কৃষকদের নিয়ে উঠান বৈঠক করে সচেতন করেছি। তিনি আরো জানান, সঠিক সময় সার, সেচ, কীটনাশক ও প্রাকৃতিক দূযোগ না হলে আমনের চেয়ে বেশি ফলন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ