খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও একজন।
নিহত ও আহত দুইজনেরই বাড়ি নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায়। নিহত যুবক বাবুল মিয়া (২৪) ডিমলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কালিগঞ্জ গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে। আহত সাইফুল ইসলাম (১৮) পূর্বছাতনাই ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে।
মঙ্গলবার সকালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ এর সত্যতা নিশ্চিত করেন। বিএসএফ নিহতের লাশ ও আহত ব্যক্তিকে আটকে রেখেছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন।
এলাকাবাসী জানান, বাবুলের বাড়ি সীমান্তবর্তী কালিগঞ্জ গ্রামের তিস্তা নদীর চরে। নদীর ওপারেই পাটগ্রামের দহগ্রাম সীমান্ত। ঘাস খাওয়ানোর জন্য তার সঙ্গে থাকা গরু দেখে বিএসএফ ভেবে নেয় গরু চোরাকারবারী। সেটি ভেবেই গুলি করতে পারে তাকে। এরপর তার লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ।
বাবুল মিয়ার মা রুবিনা বেগম বলেন, ‘লোকমুখে শুনছি বাবুল বিএসএফের গুলিতে মারা গেছে। কিন্তু আমিতো এখনও চোখে দেখিনি। না দেখলে বিশ্বাস করবো কেমনে।’
তিনি জানান, বাবুল সকালে গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর বিএসএফের গুলিতে নিহত হওয়ার খবর পান তারা।
এদিকে পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আহত সাইফুলের ফুপুর বাড়ি সীমান্তের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামে। তিনদিন আগে সে বেড়াতে গিয়েছিল সেখানে। মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বাড়ির বাইরে বের হলে ভারতীয় সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে আহত হয়।
ওই দুই হতাহতের ঘটনার ব্যাপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বিএসএফ এবং বার্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বারবার চেষ্টার পরও ৫১ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের কর্মকর্তারা কিছু বলেননি।
তবে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে একজন নিহত ও একজন আহত হয়েছে। ওই দুই জনের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছি। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন