খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: কমলাপুর রেল স্টেশনের পরিতাক্ত বগিতে আসমা নামের এক মাদরাসা ছাত্রী আসমা খাতুনের (১৭) মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, প্রেমের ফাঁদে ফেলে পঞ্চগড় থেকে ঢাকায় এনে আসমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে অভিযুক্ত মারুফ হোসেন বাঁধন (১৯)। রেলওয়ে পুলিশ বলছে, বাঁধনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে সে।
অভিযুক্ত বাঁধনকে শনিবার সকালে পঞ্চগড় থেকে ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে তাকে আটকের পর শুক্রবার দুপুরে রেলওয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাঁধন এ হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে জানিয়েছে, প্রেমের সূত্র ধরে তারা দুজন ঢাকায় আসে গত ১৯ আগস্ট ভোরে। কমলাপুরে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে হোটেলেও খাওয়া-দাওয়া করে। একপর্যায়ে ট্রেনের ভেতরে নিয়ে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বাঁধন।
ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর জানান, বাঁধনকে প্রথমে পঞ্চগড় থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। শনিবার সকালে বাঁধনকে কমলাপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ওয়াশ ফিল্ড এলাকায় পরিত্যক্ত ট্রেনের বগি থেকে মাদরাসাছাত্রী আসমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসক জানান, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার আগে ধর্ষণের করা হয়।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন