1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
‘উইঘুর নিপীড়নে’ সৌদি যুবরাজের সমর্থন! - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ২৫ জানয়ারী ২০২৫, ১২:৪০ পূর্বাহ্ন

‘উইঘুর নিপীড়নে’ সৌদি যুবরাজের সমর্থন!

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৪ ফেব্ুয়ারী, ২০১৯

খবর২৪ঘণ্টা,আন্তর্জাতিক ডেস্কচীন সফরে গিয়ে দেশটির সংখ্যালঘু মুসলিম উইঘুর সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরকারের জবরদস্তিমূলক আচরণের পক্ষাবলম্বন করেছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান চীনের উপ প্রধানমন্ত্রী হ্যান ঝেং। জ্বালানী উৎপাদন ও রাসায়নিক শিল্প নিয়ে দুই দেশের মধ্যে কিছু চুক্তিও সই হয়। এই সফরে চীনের উইঘুর নীতির স্বপক্ষেও বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ বিন সালমান। এ খবর দিয়েছে অনলাইন নিউজ উইক।
খবরে বলা হয়, মুসলিম এই সম্প্রদায়ের বিপুল সংখ্যক সদস্যকে বিশেষ বন্দিশিবিরে রেখে ‘শিক্ষা’ দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে মোহাম্মদ বিন সালমানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘নিজের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী ও অ-চরমপন্থায়ন কাজ চালিয়ে যাওয়ার অধিকার চীনের রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, এসব বন্দিশিবিরে প্রায় ১০ লাখ উইঘুর মুসলমানকে বন্দি রেখেছে চীন। সেখানে তাদেরকে বিভিন্ন বিষয়ে ‘শিক্ষা’ দেওয়া হচ্ছে। এসবের উদ্দেশ্য চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই করা।

উইঘুররা হলো তুর্কি বংশোদ্ভূত একটি জাতিগোষ্ঠী। তারা পশ্চিম চীন ও মধ্য এশিয়ার কিছু অঞ্চলে বসবাস করে। পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলে বসবাসরত উইঘুর সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ সমর্থনের অভিযোগ এনেছে বেইজিং। তাদের ওপর নজরদারির একটি বিস্তৃত কাঠামোও বাস্তবায়ন করেছে চীন। বর্তমানে ওই বন্দিশিবিরে কম্যুনিস্ট পার্টির বিভিন্ন বিষয়বস্তু পড়তে লাখ লাখ উইঘুরকে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ লিখেছে, ‘জিনজিয়াং স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলে তুর্কি মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে দমনমূলক নীতি চালিয়ে আসছে চীন সরকার। ২০১৬ থেকে এসব প্রচেষ্টা বৃদ্ধি পেয়েছে। তখন তিব্বতে কম্যুনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি চেন কুয়াংগুকে জিনজিয়াং-এর দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয়।’
বিদেশে অবস্থানরত উইঘুর গোষ্ঠীগুলো মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি অনুরোধ রেখেছিল, মোহাম্মদ বিন সালমান যেন তার সরকারি এই সফরে এসব বন্দিশিবির নিয়ে চীনকে চাপ দেন। কেননা, বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের অধিকারের স্বপক্ষে সৌদি আরবকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।

কিন্তু তরুণ যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ক্ষমতায় আসার পর সৌদি আরবের নেতৃত্ব মুসলিম আবেগের চেয়ে বাস্তবতার দিকেই বেশি নজর দিয়েছে। যেমন, মুসলিম বিশ্বে ইসরাইল নিয়ে এখনও ঘোরতর আপত্তি থাকলেও মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বাধীন সৌদি আরব দেশটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে।
প্রসঙ্গত, এই সফরে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে দেখা করেছেন মোহাম্মদ বিন সালমান। চীন ও সৌদি আরবের মধ্যে ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০১৮ সালে ৬৩০০ কোটি ডলারের ব্যবসা করেছে দুই দেশ।

খবর ২৪ঘণ্টা/ জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST