নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে করণীয় বিষয় এবং সেন্টার কমিটি গঠন বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর বুলনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। ৪নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্ঠা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়কারী এবং সদর আসনে বিএনপি মনোণীত প্রার্থী জননেতা মিজানুর রহমান মিনু। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন ও মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা ওয়ালিউল হক রানা। অন্যদের মধ্যে রাজপাড়া থানা
বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ পারভেজ পিন্টু, ২নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মাহবুব সাঈদ টুকু, ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি কচি, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি জাহিদ হোসেন লিটন, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিন্টু, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রফিক উদ্দিন টুটুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান হাবিব রুবেলসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং মহিলা দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিনু বলেন, এই সরকার শেয়ার বাজার ধ্বংস করে ৬২লক্ষ পরিবারকে পথে বসিয়েছে। চাকরী দেওয়ার নাম করে দলীয় ক্যাডারদের অর্থের বিনিময়ে চাকরী দিয়েছে। অবশিষ্ঠ সাড়ে ৪লক্ষ বেকার যুবক যুবতীর কর্মসংস্থান এই সরকার করেনি। দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে মানুষকে খোলা কারাগারে রেখেছে। কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বললে মামলার হয়রানীসহ খুন হতে হচ্ছে। দেশে এখন কোন প্রকার গণতন্ত্র নাই। গণতন্ত্র না থাকায় মানুষ এই অবৈধ সরকারের নিকট জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই জিম্মি দশা
থেকে মুক্ত করতে বিএনপি’র কোন বিকল্প নাই বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, এই ফ্যাসিষ্ট সরকারকে বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষ আর দেখতে চায়রা। এদেশের মানুষ এখন নতুন সূর্য়্যরে অপেক্ষায় রয়েছে। আর সুর্য্য হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়া। এই নির্বাচন বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করা এবং জনগণকে এই হায়নারুপি সরকারের কবল থেকে মুক্ত করতে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে বিজয়ী করতে হবে। তিনি আরো বলেন, রাজশাহীসহ দেশের একমাত্র উন্নয়নের রুপকার বিএনপি। বিএনপি’র আমলে রাজশাহীতে যে উন্নয় হয়েছিল সেই উন্নয়নই রয়ে গেছে। এই সরকার বিমাতাসুলভ আচরণ করে রাজশাহীর উন্ননের পরিবর্তে মাদকের শহরে পরিণত করেছে। এই শহর গ্রীন সিটি হিসেবে তাঁর আমলে ১৪বার পুরস্কার পায়। অথচ সেই গ্রীন সিটি, ক্লিন সিটি, হেলদি সিটি নামে পরিচিত রাজশাহীর এখন অত্যন্ত খারাপ অবস্থা। তিনি আরো বলেন, তিনি যে সময়ে মেয়র ও সংসদ সদস্য ছিলেন সেসময়ে রাজশাহী শহর রক্ষা বাঁধ, ডিসি অফিস, জুডিশিয়াল ভবন, সিটি বাইপাস, রেলওয়ে স্টেশনসহ বহু উন্নয়নমুলক কাজ করেন। বর্তমান মেয়র ও সংসদ সদস্য শুধুমাত্র দুই একটি ভবনে আরো
কয়েকটি করে তলা করেছে। নতুন কিছুই তারা এপর্যন্ত করতে পারেনি বলে তিনি বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। ক্ষমতায় গেলে বেকার সমস্যা দূরীকরণে সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেওয়া হবে জানান মিনু । ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ধানের শীষকে বিজয়ী করতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র ২৯ ডিসেম্বর রাত থেকে পাহারা দিতে হবে। ৩০ তারিখ ভোট প্রদান শেষ এবং গণনা সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত প্রতিটি বুথ পাহারা দেওয়ার আহবান জানান তিনি। বুথ পাহারা দেওয়ার জন্য সাহসি নারী ও পুরুষ নেতাকর্মীদের নিয়ে সেন্টার কমিটি গঠন করার পরামর্শ প্রদান করেন তিনি। এদিকে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ২৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপির প্রার্থী মিজানুর রহমান মিনুসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
খবর ২৪ ঘণ্টা/এমকে