1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সেনা চায় ইসি - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুকরবার, ১০ জানয়ারী ২০২৫, ১০:০৮ অপরাহ্ন

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সেনা চায় ইসি

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৮

খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: নির্বাচন মানেই সহিংসতার শঙ্কা। কিংবা পরিস্থিতি শান্ত রাখা আর নিরপত্তা নিশ্চিতের চ্যালেঞ্জ। আর এজন্যই নির্বাচনের সঙ্গে অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। ছোট একটি ওয়ার্ড নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত সব নির্বাচনেই মোতায়েন করা হয় বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের। কিন্তু চাইলেই প্রতিরক্ষাবাহিনী নিয়োগ করতে পারে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সূত্র জানিয়েছে, বর্তমান নির্বাচন কমিশন ভোটের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কিংবা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সেনা মাঠে নামানোর এখতিয়ার চায়। আর এ বিষয়টি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-১৯৭২ সংশোধন করে অন্তর্ভুক্ত করার কথাও ভাবছে সংস্থাটি।

১৯৭৩ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত (অষ্টম সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত) আরপিওতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সজ্ঞায় প্রতিরক্ষাবাহিনী অন্তর্ভূক্ত ছিল না। ২০০১ সালেই বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ২০০৮ সালের নবম সংসদ নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হিসেবেই সেনা মাঠে নামানো হয়। সেই নির্বাচনে জয়ী হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞা থেকে প্রতিরক্ষা বাহিনীকে বাদ দেয়। ফলে নির্বাচনে এখন ইসি চাইলেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে সেনা নামাতে পারে না। সেনার প্রয়োজন মনে করলে সরকারের কাছে চাইতে হয়। এক্ষেত্রে সংস্থাটির ক্ষমতা কিছুটা খর্ব হয়েছে মনে করা হয়।

ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, নির্বাচন কমিশন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় প্রতিরক্ষাবাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করতে না পারলেও সরাসরি সেনা নামানোর এখতিয়ার আরপিওতে রাখার কথা ভাবছে। কেননা, নির্বাচনে অনাহুত পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনা চেয়ে নামানো অনেক সময় সাপেক্ষ বিষয়।

এদিকে ইসির সঙ্গে সংলাপে বসে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞাতেই সশস্ত্রবাহিনীকে রাখার দাবি জানিয়েছে। তবে ‍আওয়ামী লীগ এর বিরোধীতা করে বলেছে, সেনাবাহিনীকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞায় রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধির ১২৯ থেকে ১৩১ ধারা এবং সেনা বিধিমালার ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ অনুযায়ী নির্বাচনে সেনা নামানো যাবে।

এ আইন অনুযায়ীই ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের সময় সরকারের কাছে সেনা চেয়েছিল ইসি। কিন্তু দেয়া হয়নি। সেই থেকে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল আরপিওতে সেনা নামানোর বিধান অন্তর্ভুক্ত রাখার দাবি জানিয়ে আসছে।

যদিও প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদা ইতিমধ্যে গণমাধ্যমে বলেছেন, এ পর্যন্ত প্রতিটি নির্বাচনেই সেনা মোতায়েন হয়েছে। তাই একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও সেনা মোতায়েন হওয়া ‍উচিত।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম বলেন, আরপিওতে আমরা সেনা নামানোর বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। বিষয়টি নিয়ে কমিশনে আলোচনা করা হবে শিগগিরই। কমিশন সিদ্ধান্ত দিলে সেভাবেই প্রস্তাবনা তৈরি করে পরবর্তী কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

বর্তমানে আরপিও অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন তার ক্ষমতাবলে পুলিশ, আনসার, ব্যাটেলিয়ন আনসার, বিজিবি, র‌্যাব, কোস্টগার্ড নিয়োজিত করতে পারে।

/জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST