খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: ভোট কারচুপির শঙ্কা প্রকাশ করে ফের গাজীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশিদকে প্রত্যাহার দাবি করেছে বিএনপি। গাজীপুর সিটির নির্বাচনের একদিন আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানিয়েছে বিএনপির প্রতিনিধি দল। এসপিকে প্রত্যাহার না করলে গাজীপুরে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছে দলটি।
আজ রোববার দুপুরে রাজধাণীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে যায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। এ সময় তারা সিইসি ও বাকি চার নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে আবদুল মঈন খান সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচন কমিশন ভালো নির্দেশনা দিচ্ছে। কিন্তু নির্দেশনাগুলো প্রতিপালিত না হয়ে স্থানীয় প্রশাসনের বিভিন্ন অঙ্গ নির্দেশনার উল্টোটা করছে। সরকারের প্রশাসন নির্বাচনের কাজে হস্তক্ষেপ করছে। এখন পুলিশ গিয়ে ভোটকেন্দ্র দখল করলে তো নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মানা হলো না। পুলিশের কাজ তো নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করা না। কিন্তু খুলনায় অনেক জায়গায় দেখা গেছে পুলিশ নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করছে।
গাজীপুরের পুলিশ সুপারের দিকে ইঙ্গিত করে মঈন খান বলেন, ‘একজন মানুষের কারণে পুরো নির্বাচন আজ প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে পড়বে। সেই মানুষকে যেন প্রত্যাহার করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে। সেই ক্ষমতা আপনারা ব্যবহার করুন। সেই কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করুন। আমরা সেই অনুরোধ করেছি।’
বিএনপি গাজীপুর নির্বাচনে কারচুপির আশঙ্কা করছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আশঙ্কা করছি বলেই তো কথা বলার জন্য এখানে এসেছি। সিইসি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা বলেছি অতীতেও সহযোগিতা করেছি এ নির্বাচনেও সহযোগিতা করব।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘বর্তমানে নির্বাচনে ভোট কারচুপির ধরন পরিবর্তন হয়েছে। এখন পর্দার অন্তরালে ভোট কারচুপি হচ্ছে। খুলনা সিটি নির্বাচনে আমার এই প্রক্রিয়া দেখতে পেয়েছি। এই প্রক্রিয়া এখন আমার গাজীপুরে লক্ষ্য করতে পারছি। এমন ভোট কারচুপি হলে জাতীয় নির্বাচনেও এর প্রভাব পড়বে।’
মঈন খান বলেন, ইসি যদি তার সঠিক ক্ষমতা প্রয়োগ করে তাহলে গাজীপুর সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। কিন্তু সেটি তারা করেছে না। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করছে।
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের পুলিশের গাড়িতে চড়ার বিষয়ে মঈন খান বলেন, ‘এটা সবাই দেখেছে। আলোচনা হচ্ছে। আমরা চাই গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে প্রত্যাহার করা হোক।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আজ থেকে ছয়মাস পর জাতীয় নির্বাচন। সরকার সরকারি খরচে প্রচারণা চালাচ্ছে। অথচ বিরোধী দলকে একটি মিটিং করতে দেয়া হয় না, একটা মিছিল করতে দেওয়া হয় না। এটা বাস্তবতা। গাজীপুরে মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে না পারলে এর প্রভাব গাজীপুরে না শুধু, সারা দেশে পড়বে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনেও পড়বে।
গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে আশঙ্কা করেন কি না-এমন প্রশ্নে মঈন খান বলেন, খুলনার যে ঘটনা ঘটেছে আশঙ্কা না করার কোনো কারণ নেই।
প্রতিনিধি দলের আরও ছিলেন বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমান ও বরকত উল্লাহ বুলু।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ