1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
বর্তমান সরকারের আমলে দেশের জনগন শান্তিতে নেই: বিএনপি নেতা মিনু - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১১ জানয়ারী ২০২৫, ০৩:০৫ অপরাহ্ন

বর্তমান সরকারের আমলে দেশের জনগন শান্তিতে নেই: বিএনপি নেতা মিনু

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ৬ মারচ, ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক :
আমার নেত্রী আমার মা, বন্দি থাকতে দেবনা, এই ¯েøাগান নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাজা প্রদানের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত রাজশাহী মহানগর বিএনপি মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন।
রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিনু বলেন, বর্তমান স্বৈরাচার, নির্যাতনকারী ও জনগণের টাকা আত্মসাৎকারী সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার ইতিহাসে সব থেকে একজন জঘন্য ব্যক্তিতে পরিণত হয়েছে। এর শাসনামলে দেশের জনগণ কেউ শান্তিতে নেই। শেখ হাসিনার নাম স্বৈরাচারের খাতায় লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে। বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত মীরজাফরের ন্যায় তাকেও মানুষ ঘৃনা করবে। মিথ্যাবাদী এই প্রধানমন্ত্রীর সাথে এখন অনেক আওয়ামী লীগ নেতারাও নাই। তিনি এখন জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। আর এই জনবিচ্ছিন্নতার জন্য রাজশাহী এবং খুলনার জনসভাতেও তার পক্ষে হাত তোলার লোক ছিলনা। চাল, ডাল, লবন পিঁয়াজ সহ নিত্য পণ্যের দাম বাড়িয়ে এবং ব্যাংক ও শেয়ার বাজারের টাকা লুট করে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তাঁর ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও বোন রেহানার মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছে। শেখ হাসিনা সব থেকে বড় দুর্নীতিবাজ বলে আখ্যায়িত করেন মিনু আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য এই আন্দোলন নয়। অনির্বাচিত এই সরকার ও তার প্রধানকে পতনের এই আন্দোলন। বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে এখন ধানের শীষের গণজোয়ার বইছে। আর এই জোয়ার দেখে শেখ হাসিনা ভীত হয়ে এখন বিরোধীদলকে নির্মূলে পুলিশ বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছে। পুলিশ দিয়ে এই আন্দোলন ঠেকানো যাবেনা বলে তিনি বক্তৃতায় উল্লেখ করেন। সেইসাথে খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং শেখ হাসিনার পতনের আন্দোলনে সকলকে অংশগ্রহন করার আহবান জানান তিনি।

 

সভাপতির বক্তব্যে মেয়র বুলবুল বলেন, এ রায় জনগণ মানেনা এবং কোনদিন মানবেনা। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য খুনী হাসিনার সাথে কোন আপোষ নয়। আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরবকারে পতন ঘটানো হবে। এই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় আগামী ৮ তারিখ ভূবন মোহন পার্কে অবস্থান ধর্মঘট করার ঘোষনা দেন তিনি। তিনি আরো বলেন, খালেদা জিয়া খুলনায় ৪৫টি উন্নয়ন মূলক কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন এর মধ্যে আওয়ামী লীগের বড় নেতার বাড়িও রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। আগামীতে প্রধানমন্ত্রী নেতাদের বাড়ির অন্যকিছুর উদ্বোধন করবেন বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে এবং খালেদা জিয়ার নির্দেশে সুসংগঠিতভাবে বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের কিছু উৎসাহী মন্ত্রী ও নেতারা এটা সহ্য করতে না পেরে বিনা পয়সায় বেহায়ার মত বিএনপি’র উপদেষ্টা হয়েছে। কিন্তু বিএনপি এমন অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টাদের প্রশ্রয় দেয়না বলে তিনি জানান।

 

 

বাংলাদেশের দলগুলোর মধ্যে থেকে সব থেকে জনপ্রিয় দল বিএনপি। অথচ এই সুসংগঠিত ও সুশৃংখল দলের তিনবারের প্রধানমন্ত্রীকে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা সাজা দিয়ে নির্জন জেলের স্যাঁতসেঁতে ঘরে রেখেছে। বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলেও তাঁকে চিকিৎসা করতে দেওয়া হচ্ছেনা। জেলের ডাক্তার দিয়ে নামমাত্র তাঁকে চিকিৎসা করা হচ্ছে। আর এই চিািকৎসার নামে বেগম জিয়াকে ওষুধ না বিষ দিচ্ছে তা কেউ জানতে পারছেনা। বেগম জিয়ার মনোনীত বাহিরের ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করানোর দাবী জানান বুলবুল। সেইসাথে ৮তারিখে অবস্থান ধর্মঘটকে জনসমুদ্রে পরিণত করার জন্য নেতাকর্মীদের আহবান জানিয়ে মানবন্ধন কর্মসূচী সমাপ্ত করেন।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শওকত, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পূণর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বাগমারা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল গফুর, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সহিদুন্নাহার কাজি হেনা ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মহসিন ইসলাম।
অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী, শাহমুখদম থানা বিএনপি’র সভাপতি মনিরুজ্জামান শরীফ, এ্যাডেভোকেট রইসুল ইসলাম, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, শাহমখদুম থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদ, মতিহার থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক খাজদার আলী, রাজপাড়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদ আলম, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন দিলদার, শাহমখদুম থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ বাবু, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ পারভেজ পিন্টু।

 

আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইল হিকল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সমাপ্ত, সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান টিটু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহŸায়কবৃন্দ জাকির হোসেন রিমন, আখতার হোসেন, রিপন, পরাগ, আব্দুল ওয়াদুদ বাবলু, আনন্দ কুমার, যুবদল নেতা রতন, রাজশাহী মহানগর তাঁতী দলের সভাপতি আরিফুল শেখ বনি, সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম আহŸায়কবৃন্দ এ্যাডভোকেট রওশন আরা পপি, অধ্যাপিকা সখিনা খাতুন , নুরুন্নাহার বেগম, জরিনা বেগম, মুসলেমা বেলী, রোজী, পুতুল, শিখা, গুলশান আরা মমতা, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, জেলা সভাপতি রেজাউলি করিম টুটুল, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা ছাদ্রদলের যুগ্ম সম্পাদক আরফিন কনক সহ রাজশাহী মহানগর বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল সহ ৩৭টি ওয়ার্ডের সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 

খবর২৪ঘণ্টা/এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST