খবর২৪ঘন্টা ডেস্ক : যতক্ষণ না আওয়ামী লীগ গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড ও দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না চায়, তাদের দোষী নেতাকর্মীরা বিচারের মুখোমুখি না হয় এবং যতদিন পর্যন্ত দলটির বর্তমান নেতৃত্ব ফ্যাসিবাদী আদর্শ থেকে বের না হয়ে আসে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেয়া সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
তিনি বলেছেন, খুনিরা কোনো প্রতিবাদ-সমাবেশ করলে বাংলাদেশের জনগণ তার বিরুদ্ধে কঠিন জবাব দেবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার কোনো ধরনের প্রচেষ্টাকে সুযোগ দেব না। আওয়ামী লীগের পতাকাতলে কেউ যদি অবৈধ বিক্ষোভ করার সাহস করে তবে তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ফেব্রুয়ারি মাসে হরতাল-অবরোধসহ আওয়ামী লীগের একগুচ্ছ কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
বুধবার দুপুর তিনটার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রসঙ্গে দীর্ঘ একটি পোস্ট দেন প্রেস সচিব। পোস্টে আওয়ামী লীগকে নাৎসী বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করে তাদেরকে কর্মসূচি করতে দেওয়া উচিত কি না দেশবাসীর কাছে সে প্রশ্নও রাখেন তিনি।
নিচে প্রেস সচিবের পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো—
আগস্টে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনো নায্য বিক্ষোভ বন্ধ বা নিষিদ্ধ করেনি। আমরা সমাবেশ করার স্বাধীনতা এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি। আজ সকালে গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সাড়ে পাঁচ মাসে কেবল ঢাকায় কমপক্ষে ১৩৬টি বিক্ষোভ হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি বিক্ষোভের ফলে ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়েছে। তবুও, সরকার কখনো বিক্ষোভ-সমাবেশের ওপর কোনও বিধিনিষেধ আরোপ করেননি।
বিএ..