জাতীয় দাবা চ্যাম্পিয়নশিপের ১২তম রাউন্ড চলছিল। গ্র্যান্ডমাস্টার এনামুল হোসেন রাজীবের বিপক্ষে ভালো পজিশনেই ছিলেন আরেক গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান। হঠাৎ-ই দাবা ফেডারেশনের রুমে দুই দাবাড়ু শাকিল ও নাইম হন্তদন্ত হয়ে দৌড়ে এসে জানান, ‘জিয়া ভাই মাথা ঘুরে পড়ে গেছে।
সেখান থেকে আর ফেরা হলো না দেশের জনপ্রিয় এই গ্র্যান্ডমাস্টারের। চলে গেলেন পরপারে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
জিয়ার অসুস্থ হওয়ার খবর শুনেই সবাই দ্রুত ছুটে যান দাবা বোর্ডের রুমে। সবাই তড়িঘড়ি করে তাকে ধরে নিচে নামান। জিএম রাজীবের গাড়িতে করে শাহবাগের ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় জিয়াকে।
মাত্র নয় মিনিটে পল্টনের দাবা ফেডারেশন থেকে হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের ডাক্তাররা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোয়ার্টার ফাইনালের আগে নিষেধাজ্ঞা পেলেন বেলিংহ্যাম
জিয়ার স্ত্রী লাবণ্য ফেডারেশনেই ছিলেন। তার ছেলে তাহসিন তাজওয়ারও জাতীয় দাবা খেলছেন।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৪৯ বছর। ১৯৭৪ সালে জন্ম নেওয়া জিয়া ১৯৯৩ সালে ইন্টারন্যাশনাল আর ২০০২ সালে দেশের দ্বিতীয় গ্র্যান্ডমাস্টারের খেতাব অর্জন করেন। বাংলাদেশি দাবাড়ুদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫ শো ৭০ ফিদে রেটিংও তার।
১৯৮৮ সালে প্রথমবার জাতীয় দাবায় চ্যাম্পিয়ন হোন জিয়াউর রহমান। টুর্নামেন্টে রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়নও তিনি। যেখানে বাকি চার গ্র্যান্ডমাস্টার সম্মিলিতভাবে জিতেছেন ১৬ বার।
বিএ..