সরকারের পদত্যাগসহ বিএনপির মূল দাবি নিয়ে দেশের বিভাগীয় শহরজুড়ে তিন অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে তারুণ্যের সমাবেশ এখনো চলমান রয়েছে। ঢাকা বিভাগের সমাবেশের মধ্যে এই কর্মসূচি শেষ হবে।
এরইমধ্যে নতুন করে ১০ দাবি আদায়ে এবার শ্রমজীবী মানুষের পদযাত্রা বা সমাবেশ করার উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি।
এবার ঈদের পরে চার সহযোগী সংগঠন— কৃষক দল, শ্রমিক দল, তাঁতী দল ও মৎস্যজীবী দলের সমন্বয়ে ‘দেশ বাঁচাতে কৃষক, শ্রমিক মেহনতি জনতার পদযাত্রাথ শীর্ষক কর্মসূচি শুরু করবে।
শ্রমজীবী মানুষের এ কর্মসূচি সফল করতে এরইমধ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়ালি কয়েক দফা বৈঠক করেছেন সিনিয়র নেতারা।
এতে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটির সমন্বয়ক করা হয়েছে দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেনকে।
সদস্য করা হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মাহতাব, আবুল কালাম আজাদ, হাজী মজিবুর রহমান ও আব্দুর রহিমকে।
সমন্বয় কমিটি সূত্রে জানা যায়, আগামী ১২ জুলাই নোয়াখালীতে প্রথম সমাবেশ হবে। তারপর একে একে ১৯ জুলাই দিনাজপুর, ২৮ জুলাই রাজশাহী কিংবা সিরাজগঞ্জ, ৫ আগস্ট যশোর, ১২ আগস্ট হবিগঞ্জ ও ১৯ আগস্ট বরিশালে সমাবেশ বা পদযাত্রা হওয়ার কথা রয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রত্যেকটি সমাবেশ বা পদযাত্রায় প্রধান অতিথি থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা সমাবেশে অংশ নেবেন।
জানা গেছে, ‘দেশ বাঁচাতে কৃষক, শ্রমিক মেহনতি জনতার পদযাত্রাথ শীর্ষক লিফলেটও বের করা হয়েছে।থ
যাতে বলা হয়েছে, ‘আওয়ামী দুঃশাসনকালে জাতীয় বা স্থানীয় কোনো নির্বাচনেই মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আমরা স্বাধীনভাবে অবাধে ভোট দিতে চাই। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই।থ
এছাড়া কৃষিপণ্যের দাম কমানো, কৃষকের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য, বেকারত্বের অবসান, শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, গ্যাস-বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম কমানো, তাঁতশিল্প সমস্যার সমাধান, খালেদা জিয়াসহ কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি ও তাদের মামলা প্রত্যাহার, তারেক রহমানের সব মামলা ও রায় বাতিলের দাবি তুলে ধরা হয়েছে লিফলেটে।
সমন্বয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস জানিয়েছেন, এ কর্মসূচি সফল করতে এখন বিভাগীয় শহরে প্রস্তুতি সভা করছি আমরা। শনিবার ময়মনসিংহে প্রস্তুতি সভা করেছি। নোয়াখালীতে করেছি রবিবার। এ ছাড়া আগামী ৫ জুলাই খুলনা, ৬ জুলাই নোয়াখালী ও ৭ জুলাই কুমিল্লায় প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল ঢাকা মেইলকে বলেন, তারুণ্যের সমাবেশে অভূতপূর্ব সাড়া পড়েছে সারা দেশে। আশা করি সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি কষ্টে থাকা মেহনতি মানুষের এই কর্মসূচি সফল হবে। আমরা সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছি।
বিএ/