1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের বিশ্বস্বীকৃতি বাঙালি জাতির জন্য বিরল সম্মান ও গৌরবের - খবর ২৪ ঘণ্টা
সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের বিশ্বস্বীকৃতি বাঙালি জাতির জন্য বিরল সম্মান ও গৌরবের

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৬ মারচ, ২০২২

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণের বিশ্বস্বীকৃতি আজ বাঙালি জাতির জন্য এক বিরল সম্মান ও গৌরবের স্মারক। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এ দিনে ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দান বর্তমানে শহিদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দাঁড়িয়ে বজ্রকন্ঠে রচনা করেছিলেন ১৮ মিনিটের এক মহাকাব্য।

সবাইকে জাতির পিতার মহান আদর্শ অনুসরণ করে তার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে ব্রতী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

সোমবার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে রোববার দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান তিনি।

বাঙালি জাতির জীবনে ৭ই মার্চ এক অবিস্মরণীয় দিন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, গত বছর আমরা এই মহাভাষণের সুবর্ণজয়ন্তী এবং আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। এ বছর আমরা ভাষা-আন্দোলনের ৭০ বছর এবং মুজিববর্ষ উদযাপন করছি। এমনই এক মাহেন্দ্রক্ষণে আমি গভীর শ্রদ্ধায় প্রথমেই স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ, দুই লাখ সম্ভ্রমহারা মা-বোন এবং অগণিত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে— যাদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জন করেছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষকে নিয়ে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ৭ই মার্চের ভাষণের মাধ্যমে তিনি আমাদের ‘স্বাধীনতা’ নামের এক অমরবাণী শোনান এবং সংগ্রামের মাধ্যমে শৃঙ্খলমুক্তির পথ দেখান। শুধু তাই নয়, তিনি বীর বাঙালিদের অবশ্যম্ভাবী বিজয়কে উৎকীর্ণ করেন ভাষণের শেষ দুটি শব্দে— ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে। রাজনীতির কালজয়ী কবি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এই ভাষণের মাধ্যমে দেশের শাসনভার জনগণের হাতেই তুলে দেন, ক্ষমতাকে কী করে নিয়ন্ত্রিতভাবে সবার কল্যাণে ব্যবহার করতে হয় তাও বুঝিয়ে দেন, শিখিয়ে দেন আত্মরক্ষামূলক কিংবা প্রতিরোধক সমরনীতি, যুদ্ধকালীন সরকার ব্যবস্থা ও অর্থনীতি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর খুনি মোশতাক-জিয়ার আনিত দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল করে এবং জাতির পিতা হত্যাকাণ্ডের বিচার শুরু করে। পরবর্তী সময়ে ২০০৯ সাল থেকে পরপর তিন দফা সরকার গঠন করে জাতির পিতার আদর্শে দেশের সার্বিক উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করে আওয়ামী লীগ।

তিনি বলেন, জাতির পিতা হত্যার বিচারের রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে আমরা দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করি। ফলে জাতি গ্লানিমুক্ত হয়। আমরা সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধন) আইন, ২০১১ প্রণয়ন করে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণকে সংবিধানের ১৫০ (২) অনুচ্ছেদের পঞ্চম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করি।

২০১৩ সালে জ্যাকব এফ ফাইল্ড প্রকাশিত ২৫০০ বছরের বিশ্বসেরা যুদ্ধকালীন ভাষণের সংকলন উই স্যাল ফাইট অন দ্যা বিচেস; দ্য স্পিচ দ্যাট ইনস্পায়ার্ড হিস্টোরি-এ এই ভাষণ অন্যতম হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়। জাতিসংঘের ইউনেস্কো ২০১৭ সালের ৩০ অক্টোবর এ ভাষণকে ‘বিশ্ব-ঐতিহ্য দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে। শুধু তাই নয়, ইউনেস্কো মনে করে এ ভাষণটির মাধ্যমে জাতির পিতা প্রকারান্তরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। সুত্র-বাসস
বিএ/

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST