নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদের সরকারি গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
রোববার রাত সোয়া ১১টার দিকে নাটোর শহরে প্রেসক্লাবের বিপরীত দিকে আমানা বিগবাজারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় তিনি সেখানে গাড়িটি রেখে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের চেম্বারে নেতাকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যার পর থেকেই নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদের আওয়ামী লীগদলীয় চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ তার সরকারি গাড়ি (নাটোর ঘ-১১-০০২৭) পার্ক করে ওপরে বৈঠক করছিলেন। রাত সোয়া ১১টার দিকে মোটরসাইকেলে সদরের ছাতনী এলাকার এক আওয়ামী লীগ নেতা চেয়ারম্যান আসাদের গাড়িতে কোনো ভারি জিনিস দিয়ে ভাঙচুর করে চলে যান। এ সময়ে গাড়ির ভেতরে কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও গাড়ির সামনের গ্লাস ভেঙে যায় এবং বিভিন্ন স্থানে ক্ষতি হয়।
পরে খবর পেয়ে নাটোর থানার পুলিশ এসে আসাদকে নিরাপদে নলডাঙ্গায় পৌঁছে দেয়। স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছু দিন থেকে নাটোরে চলে আসা আওয়ামী লীগের স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুলের সঙ্গে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজানের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। এই বিরোধে আসাদ স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
সোমবার সকালে নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্যের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় তার অনুসারী ছাতনী ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান মনোনয়নপ্রত্যাশী সাজ্জাদুর রহমান বাবলু তার সরকারি গাড়িতে হামলা করেছেন। এ বিষয়ে তিনি নাটোর থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
তবে সংসদ সদস্যের ব্যক্তিগত সহকারী ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদপ্তর সম্পাদক আকরামুল ইসলাম বলেছেন, এ ঘটনার সঙ্গে সংসদ সদস্যের কোনো সম্পর্ক নেই। এটা আসাদের ব্যক্তিগত কোনো ঘটনার জের ধরে ঘটে থাকতে পারে।
নাটোর থানার ওসি মনসুর রহমান চেয়ারম্যানের গাড়িতে হামলার ঘটনা ও তাকে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেএন