নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যায় লঞ্চ ডুবিতে আজ মঙ্গলবার সকালে শিশুসহ আরো ৫ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৩৫ জনে। ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক সালেহ উদ্দিন বিষয়টি আজ মঙ্গলবার সকালে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে সোমবার বিকেলে আরও ২৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে উদ্ধারকারী জাহাজের সহায়তায় লঞ্চটি তীরে আনা হয়। এরপরই লঞ্চটির ভেতর থেকে মরদেহ বের করতে শুরু করেন উদ্ধারকারীরা।
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে গত রোববার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় সাবিত আল হাসান নামে লঞ্চটি অর্ধশত যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। পরে রাতভর অভিযান চালিয়ে উদ্ধারকর্মীরা রোববার পাঁচজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। রোববার ৫ জন ও সোমবার ২৩ জন মিলিয়ে গত দুইদিনে মোট ২৮ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থলে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কাজ করছে বিআইডব্লিউটিএ, কোস্টগার্ড, দমকল বাহিনী, নৌ ও থানা পুলিশের উদ্ধারকর্মীরা। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও বিআইডব্লিউটিএ দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
রোববার মধ্যরাতে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, লঞ্চডুবির ঘটনায় পাঁচ নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তাহেরা খানম ববিকে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
অপরদিকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম খান জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার কারণ জানতে বিআইডব্লিউটিএ’র পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্র্যাফিক) মো. রফিকুল ইসলামকে প্রধান করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জেএন