রাজশাহীতে বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান মিনু আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর বক্তব্য দেওয়ার সাহস কীভাবে পেলো, জানতে চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শনিবার (০৬ মার্চ) দুপুরে ওবায়দুল কাদের বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর যৌথসভার শুরুতে তিনি এ প্রশ্ন করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই ঐতিহাসিক ক্ষণে এখনও তারা হত্যা-ক্যু-চক্রান্ত-ষড়যন্ত্রের রাজনীতিতে ব্যস্ত। তাদের টার্গেট উন্নয়নের
কারিগর, অগ্রগতির ধারক-বাহক, নন্দিত রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ। বিএনপির ওই নেতা (মিজানুর রহমান মিনু) আরেকটি ১৫ আগস্ট ঘটানোর যে বক্তব্য দিয়েছে, এ ধরনের সাহস কীভাবে পেলো। তবুও আমি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আবারও বলতে চাই, আজ মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, স্বাধীনতার আদর্শ নিয়ে চিৎকার করছেন, আজকে মায়াকান্না
কাঁদছেন, দরদ দেখাচ্ছেন। তিনি কি জবাব দেবেন? রাজশাহীতে তার দলের নেতা প্রকাশ্যে যে বক্তব্য রেখেছেন, আরেকটা ১৫ আগস্ট ঘটানোর, এরকম মানসিকতা এরকম চরিত্র নিয়েই কি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন করবেন, সুবর্ণজয়ন্তী পালনের মুহূর্তে এই ধরনের বক্তব্য দেওয়ার সাহস আপনার দলের নেতা কি করে পেলো? এটা আপনাদের দলীয় বক্তব্য কি-না? আপনার কাছে জানতে চাই?’
‘আজকে বিএনপি চক্রান্তের পথই বেছে নিয়েছে। কারণ তারা নির্বাচন করতে গেলে জনগণ তাদের ভোট দেয় না। জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আন্দোলন করতে গেলে জনগণ সাড়া দেয় না। তারা বারবার চেষ্টা করেছে কিন্তু জনগণ তাদের আন্দোলনে সাড়া দেয় না। কারণ বিএনপির আন্দোলন মানেই হচ্ছে সহিংসতা, বিএনপির আন্দোলন মানেই হচ্ছে জ্বালাও-পোড়াও, তাদের আন্দোলনের নামই হচ্ছে আগুন সন্ত্রাস। এই তিক্ত অভিজ্ঞতা দেশের মানুষের জানা আছে। ’
বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির কারণে তাদের ভোট কমে যাচ্ছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সে কারণেই আজকে তাদের ভোটে ভরাডুবি। জনগণের কাঠগড়ায় পরিত্যাক্ত ও জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি আন্দোলনেও যেমন ব্যর্থ ঠিক তেমনি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আগ্রহ অর্জনে চরম ব্যর্থ হয়েছে।
ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ যৌথসভায় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দিপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল
হক, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।
জেএন