বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছাড়া আপনি রাস্তায় নামতে পারতেন? আওয়ামী লীগ অনেক লোক সৃষ্টি করেছে, অনেকের অবদান আছে- এটি অস্বীকার করি না। কিন্তু আওয়ামী লীগের পূর্ণতা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু।
বোরবার সন্ধ্যার পর বসুরহাট রূপালী চত্বরে দলীয় কার্যালয় থেকে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের মির্জা বলেন, স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করবেন না, স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে মিথ্যাচার করবেন না। স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলক নিয়েও মিথ্যাচার দুঃখজনক। এটি আমাকে কষ্ট দেয়। জিয়াউর রহমান জীবিত থাকতে কখনও কি বলেছিলেন– ‘আমি স্বাধীনতার ঘোষক’। এখনকার মিথ্যাচার শুনে জিয়াউর রহমান কবরে থেকেও লজ্জা পাচ্ছেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার মূল চেতনাই ছিল বঙ্গবন্ধু। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই স্বাধীনতা এসেছে। আপনারা ছিলেন কর্মী। আর কর্মী হিসেবে দলের দায়িত্বে ছিলেন বলে সেদিন আপনি পতাকা উত্তোলন করেছিলেন। আর আজ আপনি দাবি করেন স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক-এটি দুঃখজনক।
মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের শক্ত টিম ওয়ার্ক ছিল উল্লেখ করে বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মনসুর আলী, কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে শক্ত টিম ওয়ার্কের কারণে মুক্তিযুদ্ধে সংগঠিত হয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, শেখ ফজলুল হক মনি, সিরাজুল আলম খান (দাদা ভাই), আ স ম আবদুর রব, শাহজাহান সিরাজ, আবদুল কুদ্দুস মাখন, তোফায়েল আহমেদের নেতৃত্বে জাতীয় ও যুবনেতারা ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করার কারণে আমরা স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব দেশ পেয়েছি।
কাদের মির্জা ও সেতুমন্ত্রীর ভাগিনা পরিচয় দিয়ে সড়ক বিভাগে অনিয়মকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপকমিটির সদস্য ইস্কান্দার মির্জা শামীমসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে কাদের মির্জা বলেন, আমাদের ভাগিনা পরিচয় দিয়ে ইস্কান্দার মির্জা শামীমসহ বেশ কয়েকজন সড়ক বিভাগে অনিয়ম করছে।
তিনি আরও বলেন, আমি সড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামকে বলেছি– ইস্কান্দার মির্জা শামীম আমাদের কেউ না। তার সঙ্গে কোম্পানীগঞ্জের মিজানুর রহমান বাদল, ফখরুল ইসলাম রাহাত, চট্টগ্রামের বাবু, আজাদ ও আনাছ অনিয়মে জড়িত। তারা যেন মন্ত্রণালয়ে ঢুকতে না পারে সে ব্যাপারে সচিবকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ইস্কান্দার মির্জা শামীম মন্ত্রীর ভাগিনা পরিচয় দিয়ে সড়ক বিভাগের কাজ পাইয়ে দেবে বলে লক্ষ্মীপুরের মো. কাওছার হামিদ মজুমদারের কাছ থেকে দুই কোটি টাকার চেক নিয়েছে। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে এক কোটি টাকা তুলেও নিয়েছে। কিন্তু তিনি অনিয়ম করে মাইনউদ্দিন বাসী নামের একজনের লাইসেন্সে কাজটি ভাগিয়ে নিলেও কাওছার হামিদকে কাজটি দেয়নি। মো. কাওছার হামিদ মজুমদার প্রমাণসহ আমার কাছে অভিযোগ করে গেছে। আমি বিষয়টি সড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলামকে জানিয়েছি।
জেএন
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।