ঢাকাবুধবার , ২০ জানুয়ারি ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

২ যুবলীগ নেতার হাত-পা ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা

অনলাইন ভার্সন
জানুয়ারি ২০, ২০২১ ১২:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পিরোজপুরের নাজিরপুরে মো. রনি হাওলাদার (২৮) ও মিজানুর রহমান মিঠু (৩২) নামের ২ যুবলীগ নেতার হাত-পা ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। একইসঙ্গে মো. ফারুক হাওলাদর (৩৫) নামের ৩ যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে গুরুতর আহতও করা হয়েছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের ভীমকাঠী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। গুরুতর আহত রনি হাওলাদার ও মিজানুর রহমান মিঠুকে ওই রাতের সাড়ে ১২টার দিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত রনি হাওলাদার উপজেলার শ্রীরামাকাঠী ইউনিয়নের বন্দরস্থ মৃত জব্বার হাওলাদারের ছেলে ও ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি। এছাড়া মিজানুর রহমান মিঠু একই এলাকার মৃত চুন্নু মিয়ার ছেলে এবং ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি। আর আহত মো. ফারুক হাওলাদার উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের চলিশা গ্রামের মৃত বেলায়েত হোসেন হাওলাদারের ছেলে ও উপজেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি।

হামলায় আহত ফারুক হাওলাদার অভিযোগ করে  জানান, ওই রাতে তারা ৩ জন একটি মোটরসাইকেলে করে দলীয় কাজ সেরে নাজিরপুর থেকে শ্রীরামকাঠী বন্দরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় শ্রীরামাকাঠী বন্দরের কাছাকাছি ভীমকাঠীর বালা বাড়ির কাছে পৌঁছলে মোটরসাইকেলের আলোতে দেখতে পান প্রধান সড়কের উপর গাছের গুড়ি ফেলা। সেখানে পৌঁছতেই রাস্তার দু’পাশে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে থাকা উপজেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. আরিফুর রহমান সবুজ ও স্থানীয় মহিউদ্দিনের নেতৃত্বে প্রায় ২৫ থেক ৩০ জন সন্ত্রাসী দা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাদের হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়।

থানা পুলিশের একটি সূত্র  জানান, হামলাকারী ও আহতরা একই দলীয়। তবে স্থানীয় রাজনীতির কোন্দলের জেরে এ হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইশিতা সাধক নিপু বলেন, হামলায় মিজানুর রহমান মিঠুর বাম হাত-পা ও ডান পা ভেঙে গেছে। এ ছাড়া তার মাথায় দাঁড়ালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর হাড়ভাঙা জখম রয়েছে। রনির দু’ হাত-পা ভেঙে গেছে। তার মাথায়ও গুরুতর হাড়ভাঙা জখম রয়েছে। তার নাক-মুখেও আঘাত রয়েছে। গুরুতর আহত দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আশ্রাফুজ্জামান জানান, ঘটনাটি শুনে ওই রাতে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থান্দার খাইরুল ইসলাম সেখানে পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জেএন

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।