খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: সাতক্ষীরা কলারোয়ায় শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি সোহাগ হোসেন পুলিশের ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হয়েছেন। ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় রাত আড়াইটার দিকে কলারোয়া উপজেলার হিজলদি সীমান্তে এই ক্রসফায়ারের ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার সময় পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ একটি সুটার গান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
কলারোয়া থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, সাতক্ষীরা কলারোয়া উপজেলার কেড়াছাগাছি ইউনিয়নের পশ্চিম বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের ঘটনায় শনিবার শিশুটির নানী বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় বোয়ালিয়া গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে সোহাগ হোসেনকে।
এ ঘটনার পর পুলিশের এসআই সোলাইমানের নেতৃত্বে তাকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযানে নামে। সোহাগ হোসেন রাত আড়াইটার দিকে হিজোলদি সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ব হয়ে সোহাগ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
সূত্রমতে, কলারোয়া উপজেলার কেড়াছাগাছি ইউনিয়নের পশ্চিম বোয়ালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ৯ বছরের শিশু কন্যা ওই গ্রামে তার নানীর বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করে আসছে। শনিবার সকাল ১১টার দিকে বোয়ালিয়া গ্রামের তার নানীর বাড়ির পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরে গোসল করতে গেলে পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে সোহাগ হোসেন তাকে জাপটে ধরে জোরপূর্বক নির্যাতন করে। এসময় মেয়েটির আত্মচিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে পালিয়ে যান সোহাগ (২৭)। ঘটনার পর আহত ওই শিশুটিকে উদ্ধার করে প্রথমে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ