সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকাসোমবার , ৬ মে ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রোজার আগেই রাজশাহীর বাজারে মাছ-মাংসের দামে উর্দ্ধগতি

omor faruk
মে ৬, ২০১৯ ৩:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক :
পবিত্র মাহে রমজানের আগের দিনই রাজশাহী মহানগরীর বাজারগুলোতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ মাছ-মাংসের দাম বেড়ে গেছে। গতকালের তুলনায় সোমবার নগরীর বাজারগুলোতে মাছ ও মাংসের দাম কেজি প্রতি ৪০/৫০ টাকা বেশি দরে বিক্রি করা হয়। পাইকারী বাজারে দাম বেশি হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়িয়েছেন বলে গ্রাহকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ রয়েছে। যদিও রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য রাজশাহী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। কয়েকটি টিম রমজান

মাসে মাঠে থাকবে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার রাজশাহী মহানগীর বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি করা হয় ৫৫০ টাকায়। অথচ গতকাল বা তার দু’একদিন আগে গরুর মাংস বিক্রি করা হয়েছে ৫২০ টাকা কেজি দরে। রোজা না আসতেই ব্যবসায়ীরা কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৪০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে। নগরীর লক্ষীপুর বাজারে এমন চিত্র

দেখা গেছে। শুধু মাংসের দামই নয় বেড়েছে মাছের দাম। কিছুদিন আগে থেকেই মাছের দাম বাড়তি হলেও সোমবার রমজানকে কেন্দ্র করে প্রত্যেক ধরণের মাছের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয় কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। নগরীর লক্ষীপুর কাঁচাবাজারে সোমবার ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের সিলভার কাপ মাছ বিক্রি করা হয় ১৮০ থেকে ১৮৫ টাকা কেজি

দরে। আর এক কেজি ওজনের বেশি মাছের দাম ২০০ টাকার উপরে ধরা হয়। রুই মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের দাম ধরা হয় ২০০ টাকা থেকে ২২০ টাকা পর্যন্ত। মিড়কার মাছের দামও প্রায় একই। এ ছাড়া পাঙ্গাস, কাতলা, আইকড়, ইলিশসহ অন্যান্য মাছের দামও বেড়ে গেছে। নগরীর লক্ষীপুর বাজারে মাছ কিনতে আসা নাইমুর রহমান নামের

এক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, রমজান উপলক্ষে খুচরা ব্যবসায়ীরা মাছ ও মাংসের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে নিজেদের ইচ্ছামত। যে মাংস গতকাল ৫২০ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে সেই গরুর মাংস আজ ধরা হচ্ছে ৫৫০ টাকা। রমজানের আগের দিন চাহিদা বেশি

থাকায় বিক্রেতারা এ দাম বাড়িয়ে দিয়েছে বলে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। শুধু নগরীর লক্ষীপুর বাজারেই নয় কোর্ট স্টেশন বাজার, সাহেব বাজারসহ নগরীর বিভিন্ন বাজারে মাছ ও মাংসের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক এসএম কাদের বলেন, রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসসহ মাছ-মাংসের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। বাজার মনিটরিংয়ে দুই/তিনটি টিম মাঠে কাজ করবে। কেই দাম বাড়ালে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

আর.এস

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।