ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৪ নভেম্বর ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাবি শিক্ষার্থীকে পেটাল পুলিশ কনস্টেবল

khobor
নভেম্বর ১৪, ২০১৯ ১০:৩৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাবি প্রতিনিধি:

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বরত এক পুলিশ কনস্টেবল। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে এ মারধরের ঘটনা ঘটে।

    ভূক্তভোগী হুমায়ন কবির নাহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। তবে মারধরকারী পুলিশ কনস্টেবলের নাম পরিচয় জানা যায়নি।

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেট দিয়ে নাহিদ বাইক নিয়ে প্রবেশ করছিলেন। তখন দায়িত্বরত কয়েকজন পুলিশ তার বাইক আটক করে বাইকের কাগজপত্র দেখতে চান। নাহিদ বাইকের কাগজপত্র না দেখিয়ে সে বলে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। গাড়ির সামনে সে তার স্টুডেট স্টিকার দেখান। পুলিশ তারপরেও তার কাগজপত্র দেখতে চান। তখন নাহিদ তার বাইকের কাগজপত্র দেখান। গাড়ির কাগজের নাহিদের নাম ছিল না, সেখানে তার বড় ভাইয়ের নাম ছিল।

    তখন মতিহার জোনের সহকারী কমিশনার মাসুদ রানা নাহিদকে থানায় নিয়ে তুলে নিয়ে যাওয়ার অর্ডার করেন। সে সময়ে নাহিদ বাইকে জোর করে বসে থাকেন। এ সময় পুলিশ কনস্টেবলের সঙ্গে নাহিদের বাকবিতÐা শুরু হয়। বাকবিতÐার এক পর্যায়ে ওই কনস্টেবল পুলিশ নাহিদকে মারধর করে ও টেনেহিঁচড়ে থানায় তুলে নিয়ে যায়।

    এ ঘটনায় বিনোদপুর গেটে শিক্ষার্থীদের ভিড় জমে যায়। তারা সেখানে দায়িত্বরত অন্য পুলিশদের আটক করে রাখে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নাহিদকে থানা থেকে আবার ক্যাম্পাসে ফেরত নিয়ে আসা হয়। এ সময় পুলিশ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু পুলিশের সঙ্গে কথা বিষয়টির সমাধান করেন। ঘনটাস্থলে উপস্থিত থাকা পুলিশের সহকারী কমিশনার মাসুন রানা শিক্ষার্থীদের কাছে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চান।

    জানতে চাইলে মতিহার থানার (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এখানে একটা ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে। ভুলবোঝাবুঝি থেকে এ ঘটনার সূত্রপাত। মারধরকারী পুলিশের বিরুদ্ধে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

    বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, পুলিশ আমাকে ঘটনাটি অনেক পরে জানিয়েছে। আমি ক্যাম্পাসের বাহিরে অবস্থান করছি। তবে ঘটনাটি শুনার পরই আমি সেখানে দুইজন সহকারী প্রক্টর পাঠিয়েছি।
আর/এস

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।