সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৯ ডিসেম্বর ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি, শীতের তীব্রতা বেড়েছে

khobor
ডিসেম্বর ১৯, ২০১৯ ৯:১২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক : 
রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলায় হঠাৎ করেই জেঁকে বসেছে শীত। মাত্র একদিন আগেও শীত তেমন না থাকলেও মাত্র একদিনের ব্যবধানে তীব্র শীত পড়া শুরু করেছে। শীত বেড়ে যাওয়ায় সমস্যার মধ্যে পড়েছেন সাধারণ খেটে ও দিনমজুর এবং ছিন্নমূল মানুষজন। গতকাল বুধবার সকাল থেকেই রাজশাহীতে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যাচ্ছিল। ঠণ্ডা বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে শীতও বেড়েছে। সকাল ১০টা নাগাদ সূর্যের দেখা মিললেও তাপমাত্রার পরিমাণ কম ছিল। এ কারণে দিনভর শীত ছিল। বুধবার রাজশাহীতে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে বৃহস্পতিবার ভোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চলতি মৌসুমে রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলায় ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত শীতের দেখা মেলেনি। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগরীতে হঠাৎ ঠাণ্ডা বাতাস বইতে শুরু করে ও আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে যায়। প্রায় আড়াই ঘন্টা এমন অবস্থা চলায় ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করে। পরদিন কিছুটা গরম থাকলেও সোমবার থেকে শীতের পরিমাণ একটু একটু করে বাড়তে থাকে। মঙ্গলবার থেকে শীতের পরিমাণ আরো বেড়ে যায়। তবে এদিন ঠান্ডা বাতাস ছিল না। বুধবার সকাল থেকেই রাজশাহীজুড়ে ঠান্ডা বাতাস বয়ে যায়। এদিন মৌসুমের সবচাইতে বেশি শীত পড়ে। বৃহস্পতিবার শীতের তীব্রতা অারো বেড়ে যায়। হঠাৎ করেই শীত পড়ায় দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ ও ছিন্নমূলরা ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েন। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর আরো শীত বেড়ে যায়। শীত বেশি পড়ায় এদিন নগরীর বাজারগুলোতে গরম কাপড় কিনতে ক্রেতারা ভিড় জমায়। সাধ ও সাধ্য অনুযায়ী ক্রেতাদের শীতের পোশাক কিনতে দেখা যায়। তবে শীতের পোশাক না থাকায় সবচাইতে বেশি সমস্যার মধ্যে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ। শীতের সময় তারা গরম পোশাক না পাওয়ায় কষ্ট পাচ্ছেন। তাপমাত্রা কমায় কনকনে শীতে কাবু হয়ে পড়েছেন রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলার মানুষ। শীত পড়ায় তীব্র শৈত্য প্রবাহ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানা গেছে। বেশি শীত পড়ার কারণে রাজশাহীতে শিশু ও বয়স্করা নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। শিশুরা নিউমোনিয়া ও জ্বরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ও বয়স্করা শ্বাষকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। 
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৭৮ শতাংশ। বৃহস্পতিবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রা প্রতিদিনই কমার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া অফিস আরো জানায়, তাপমাত্রা সাধারণত ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে বলা হয় মৃদু শৈতপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে বলা হয় মাঝারি শৈতপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে তাকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

আর/এস

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।