সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকারবিবার , ১২ মে ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজশাহীতে বিত্তবানদের ইফতারে থাকছে ফাস্ট ফুড ও রেস্তোঁরার দামি খাবার

omor faruk
মে ১২, ২০১৯ ৮:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ওমর ফারুক:
পবিত্র মাহে রমজান মাসের রোজাকে কেন্দ্র করে ইফতারি আয়োজনে কত কিছুরই না আয়োজন করে থাকেন সমাজের বিত্তবান মানুষরা। ফাস্ট ফুড ও রেস্তোঁরার দামি খাবার ছাড়া যেন জমেই না সমাজের বিত্তবান মানুষদের ইফতার। ইফতারি আয়োজনে বাজারের দামি দামি ফলমুল ও ফাস্ট ফুড রেস্তোঁরর দাম খাবার চাই তাদের ইফতারি আয়োজনে। প্রতি বছরের মতই এবারও রাজশাহী মহানগরীর বিত্তবান মানুষরা ইফতারির জন্য খাবার কিনতে ছুটছেন নগরীর নামী-দামী ফাস্ট ফুড ও রেস্তাঁরাগুলোতে। দামি খাবারের পাশপাশি থাকছে বিভিন্ন ধরণের দেশীয় ফল। কারণ এবার রোজার শুরু থেকেই ব্যাপক তাপদাহ পড়ছে। ইফতারের সময় স্বস্তি পেতে রোজাদারররা রসালো ফল ও ঠান্ডা শরবত রাখছেন

ইফতারি আয়োজনে। তবুও বিত্তবানদের ইফতারিতে ঠাঁই পাচ্ছে রেস্তোঁরার দামি খাবার।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর বিত্তবান মানুষরা ইফতারি কেনার জন্য নগরীর সাহেব বাজারে অবস্থিত মিটলফ ফাস্ট ফুড, চিলিস, হোটেল মেমোরি, রহমানিয়া ও লক্ষীপুরে অবস্থিত রুচিতা হোটেল, সিএন্ডবি মোড়ে অবস্থি নানকিং দরবার হলসহ বড় বড় হোটেলে ছুটছেন। নগরীর বিত্তবান মানুষদের ইফতারে নতুন আইটেম যোগ করতে রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ‘চিকেন টিক্কা’র এবার মিলছে সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে অবস্থিত মিটলফ ফাস্টফুডে। এখানে ইফতারির বিশাল আইটেমের সম্ভার রয়েছে। নগরীর গণকপাড়ায় অবস্থিত রহমানিয়া বিরিয়ানী এন্ড কাবাবে বাহারি ধরণের ইফতারি আইটেম বিক্রি হচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছে দুই ধরণের ইফতারি প্যাকেজ। একটি প্যাকেজ বিক্রি হচ্ছে ৬০

টাকা এবং অন্যটি ৭০ টাকায়। তেহের ডিম হাফসহ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। সাসলিক ৪০ টাকা, ক্রিসপি চিকেন ৪০ টাকা, সামী কাবাব ১৫ টাকা, শাহী ফিরনি ২৫ টাকা, শিক কাবাব গরু ৫০ টাকা, শিক কাবাব মুরগি ৩৫ টাকা, কাটি কাবাব ২৫ টাকা, ডিমের চপ ১০ টাকা, খাসীর সামুচা ১০ টাকা, হালিম ফুল ১০০ টাকা ও হাফ ৬০ টাকা, আস্ত মুরগী ৩৮০ টাকা, চিকেন গ্রীল প্রতি ৮০ টাকা, কাচ্চি বিরিয়ানি হাফ ১১০ টাকা, মুরগী বিরিয়ানি হাফ ১১০ টাকা, হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানি ১২০ টাকা, জিলাপী প্রতি কেজি ১২০ টাকা, চিকেন ফ্রাই ৮০ টাকা, চিকেন বল ২০ টাকা, ভেজিটেবল রোল ১৫ টাকা, খিচুরী+ডিম ভুনা ৪০ টাকা ও খাসির রান ৬০০ টাকা। ইফতার কিনতে আসা এক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বছরে একটি মাস আমাদের মাঝে রোজা আসে। রোজার সময় সব পরিবারের সদস্যরাই চাই ভাল ভাল

খাবার খেতে। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে হলেই তবে ভাল খাবার কেনা যায়। পরিবালের সদস্যদের জন্যই মূলত দামি খাবার কিনতে হয় বলে তিনি আরো জানান। নগরীর আরেক ব্যক্তির সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রমজানের সময়টাতে চেষ্টা করি ভাল খাবার খাওয়ার জন্য তারই অংশ হিসেবে দামি দামি ইফতার কেনা। মাহে রমজানে বছরের অন্য সময়ের তুলনায় তাদের খরচ বেড়ে যায় বলে অবশ্য তিনি মন্তব্য করেন। সরজমিনে রোববার বিকেল পৌনে ৬টার দিকে রহমানিয়া হোটেলের সামনে গিয়ে দেখা

যায় ক্রেতাদের ব্যাপক ভিড়। ইফতারি কিনতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ক্রেতারা। তবে বিকেল ৬টার আগেই অধিকাংশ ইফতার সামগ্রি বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানান, প্রোপাইটার রিয়াজ আহমেদ খান।
তিনি বলেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার কম ইফতার বিক্রি হচ্ছে। গ্রাহকদের ভিড় একটু কম হচ্ছে। কারণ এবার রোজার শুরু থেকেই প্রচন্ড গরম। গরমে মানুষ কম বাইরে বের হচ্ছে। তারপরও খুব কম বেচাকেনা হচ্ছে না। খুব কম সময়ের মধ্যেই ইফতার বিক্রি জমে উঠবে।

আর/এস

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।