ঢাকাশনিবার , ৫ অক্টোবর ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজশাহীতে কলেজ ছাত্রী লিজার আত্মহত্যা, আটক স্বামীর ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন

khobor
অক্টোবর ৫, ২০১৯ ৭:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানা থেকে বের হয়ে এসে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে কলেজ ছাত্রী লিজা রহমান (১৮) এর আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার মামলায় গ্রেফতার স্বামী সাখাওয়াতকে আদালতে পাঠিয়ে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। এর আগে তাকে রাজশাহীর আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করে শনিবার রাতে নগরীর শাহমখদুম থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি এসএম মাসুদ পারভেজ বলেন, মৃত কলেজ ছাত্রী লিজার স্বামীকে গ্রেফতারের পর আদালতে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। আদালত রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে। রিমান্ডে নিয়ে এসে তাকে স্ত্রীকে নির্যাতনের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

সাখাওয়াতের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলায়। উল্লেখ্য, ৪ সেপ্টেমবর শুক্রবার রাত ২টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলায় তার আপন ভগ্নিপতি রুবেলের বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। কলেজ ছাত্রী লিজা রহমানের আত্মহত্যার প্ররোচনায় তার বাবা আলম বাদী হয়ে গত বুধবার দিবাগত রাতে নগরীর শাহমখদুম থানায় একটি মামলা দায়ের

নিহত কলেজ ছাত্রী লিজা

করেন। মামলায় নিহতের স্বামী সাখাওয়াত, শ্বশুর মাহাবুব আলম খোকন ও শাশুড়ি নাজনিন বেগমকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করা হয়। গত ২৮ সেপ্টেমবর দুপুরে কলেজ ছাত্রী লিজা রহমান পাবিবারিক কলহের জের ধরে থানায় অভিযোগ করতে গিয়ে বের হয়ে এসে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। নগরীর শাহমখদুম থানাধীন পবা নতুন পাড়া এলাকায় বসবাস করতো। শনিবার দুপুর আড়াইটার

দিকে টিটিসির সামনে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে মনমালিন্য চলে আসছিলো। মেয়েটির মা-বাবা কেউ নাই। সে অনাথ। গত ২৮ সেপ্টেমবর সকালেও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এরপর দুপুরে কলেজ ছাত্রী লিজা নগরীর শাহমখদুম থানায় অভিযোগ দিতে যায়। সেখানে সবকিছু শুনে তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে পাঠানোর হয়। কর্তব্যরত পুলিশ তার অভিযোগের বিষয়গুলো জানতে চায়। এরপর ওই লিজা থানা থেকে বের হয়ে যায়। থানা থেকে বের হয়ে টিটিসির সামনে গিয়ে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়। আগুনে তার শরীরের

বেশির ভাগ অংশ পুড়ে যায়। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। কিন্ত তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে তাকে এ্যাম্বুলেন্সযোগে ঢাকা পাঠানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। পরে গাইবান্ধায় তার জানাজা শেষে দাফন করা হয়।

আর/এস

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।