বিশেষ প্রতিবেদক :
সারা দেশে ন্যায় রাজশাহীতেও শুরু হয়েছে ট্রাফিক সপ্তাহ। এই ট্রাফিক সপ্তাহকে কেন্দ্র করে চলছে ট্রাফিকের সাঁড়াশি অভিযান। এই অভিযানে তারা শুধু মোটর সাইকেলর কাগজপত্র চেকিং করছে এবং মামলা ও জরিমানা করছেন। এমন দৃশ্য রোববার বিন্দুর রেলগেটে দেখা যায়। অথচ রেলগেট থেকে ১০০ গজ সামনে নিবন্ধন বিহীন সিএনজি ও মাহিন্দ্র অনায়াসে চলছে। সেখানে ট্রাফিক পুলিশ পাহারা দিয়ে তাদের চলাচালের সুবিধা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সিএনজি এবং মাহিন্দ্র গাড়ী চলাচলে কোন বাধা নেই। অথচ ড্রাইভারের বৈধ লাইসেন্স, রুট পারমিট, নিবন্ধন থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় বাস নামাতে পারছেন না বলে জানান রাজশাহী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মঞ্জুর রহমান পিটার। তিনি বলেন, বর্তমানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারনে রাজশাহী থেকে সকল রুটে বাস চলাচল বন্ধ আছে। সেইসাথে দুরপাল্লার বাসও বন্ধ রাখা হয়েছে রাস্তা স্বাভাবিক হলে পুণরায় তারা বাস চালাবেন।
তিনি আরো বলেন, বাসের বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্বেও প্রতিনিয়ত তাদের পুলিশি হয়রানী হতে হয়। তারা নিয়মিত হাজার হাজার টাকা ব্যয় করে গাড়ীর রুট পারমিট করান এবং ফিটনেস পরীক্ষা করিয়ে রাস্তায় নামান। তা সত্বেও ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় দাঁড় করিয়ে তল্লাসীর নামে হয়রানী করে এবং অবৈধভাবে টাকা আদায় করেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। অথচ নিবন্ধনহীন সিএনজি ও মাহিন্দ্র গাড়ীগুলো সম্পূর্ণ অবৈধভাবে শহরে এবং নগরীর বিন্দুর মোড় রেলগেট হতে কেশরহাট সহ আরো অন্যান্য স্থানে অবাধে চলাচল করছে। এগুলো ট্রাফিক বিভাগ কোনভাবেই নজরে নিয়ে আসছে না বলে জানান তিনি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন সিএনজি ও মাহিন্দ্র চালক বলেন, যানবাহনের নিবন্ধন ও তাদের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলেও কোন সমস্যা হয়না। রাস্তার সকল স্থানে ট্রাফিক পুলিশকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে চলাচল করছে বলে জানান তারা।
এদিকে রেলগেটে গিয়ে দেখা যায় বেশির ভাগ সিএনজি ও মাহিন্দ্র গাড়ীর কোন নিবন্ধন নাই। এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতেখায়ের আলম বলেন, সিএনজি এবং মাহিন্দ্র গাড়ী নিয়েও তাঁরা কাজ শুরু করেছেন। রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এই সমস্ত ৮টি গাড়ী ট্রাফিক পুলিশ আটক করেছেন বলে জানান তিনি।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে