সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকাবুধবার , ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রাজশাহীতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা হত্যার রহস্য উদঘাটন

khobor
সেপ্টেম্বর ২২, ২০২১ ৭:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজশাহী মহানগরীতে অবসর প্রাপ্ত এক স্কুল শিক্ষিকা হত্যা মামলার আসামীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে মামলার রহস্য উম্মোচন করে একব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশ। গ্রেফতারকৃত হলো, মিলন শেখ (২৪)। তিনি রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার বড়কুঠি ক্যাম্পের মৃত কালু শেখের ছেলে। আসামী পেশায় রংমিস্ত্রী। আসামী মৃত মায়া রাণীর ছাত্র হওয়ার সুবাদে প্রায় বাসায় আসা যাওয়া করতো।
পুলিশ জানায়, রাজশাহী মহানগরীর মুন্নুজান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মায়া রাণী ঘোষ (৭০) কুমার পাড়াঘোসপাড়ার নিজ বাড়ীতে একাই বসবাস করতেন। নিঃসন্তান হওয়ায় সে পুতুল ঘোষ (২৮) নামের একজনকে লালন পালন করতেন। ২১ সেপ্টেমবর মায়া রাণীর পালিত মেয়ে পুতুল ঘোষ একই মহল্লার শ্বশুরবাড়ি থেকে মায়া রাণীকে প্রতিদিনের ন্যায় রান্না করে দেওয়ার জন্য বাসায় গিয়ে দেখেন, মায়া রাণী ঘোষের মৃত দেহ পড়ে আছে এবং গলায় একটি ওড়না প্যাঁচানো। এ অবস্থা দেখে সে চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন সহ বোয়ালিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এরপর বোয়ালিয়া থানা পুলিশ মৃত দেহের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
মৃত মায়া রাণীর ছোট ভাই দেবাশিষ ঘোষ (৬২) জানান, মৃত মায়া রাণী ঘোষ তার বাসায় একাকি থাকায় অজ্ঞাতনামা আসামী বা আসামীরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে তার হাতে, কানে ও গলায় থাকা ২,১০,০০০(দুই লক্ষ দশ হাজার) টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেট নিয়ে যায়। এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বোয়ালিয়া মডেল থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু হয়।
বোয়ালিয়া থানা ও সাইবার ক্রাইম ইউনিটের তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা তথ্য ব্যবহার করে আজ ২২ সেপ্টেম্বর বুধবার রাত পৌনে ৩টায় বোয়ালিয়া মডেল থানার কুমারপাড়া মুন্নুজান স্কুলের সামনে হতে আসামী মোঃ মিলন শেখকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীর দেওয়া তথ্যমতে মৃত মায়া রাণীর ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে এই হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায়, আসামী বাসা ভাড়া নেয়ার মিডিয়া হিসেবে কাজ করার কৌশলে মৃত মায়া রাণীর হাতে, কানে ও গলায়থাকা স্বর্ণালংকার চুরি করে এবং পরিচয় গোপণ রাখার জন্যই এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। আসামীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

এস/আর

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।