ঢাকামঙ্গলবার , ১৪ জানুয়ারি ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বাগমারায় নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে ব্রীজ নির্মাণের অভিযোগ

khobor
জানুয়ারি ১৪, ২০২০ ৭:৩৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাগমারা প্রতিনিধি: বাগমারায় ব্রীজ নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ও সিডিউলের শর্ত ভঙ্গ করে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, বাগমারা উপজেলায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের আওতায় ১৮টি ব্রীজ নির্মাণ কাজ চলছে। ব্রীজ নির্মাণে সিডিউলের শর্ত ভঙ্গ করে ঠিকাদারদের সাথে উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিআইও) এর যোগসাজসে নিম্ন মানের সামগ্রী ব্যবহার করে ব্রীজ নির্মিত হচ্ছে। সিডিউলে ব্রীজের টপ ঢালায় সহ প্রতিটি কাজে পাথরের সাথে ২.৫ এফএম ডুমার বালি দিয়ে কাজ না করে স্থানীয় সাদা ১.০০ এফএম বালি দিয়ে ব্রীজের টপসহ অন্যান্য ঢালায় এর কাজ করা হচ্ছে। এ ছাড়াও ফেরা ব্যবহার না করে টুকরি দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। ফেরা দিয়ে কাজ করলে প্রতি ১০০ ফিট-এ ১৮ বস্তা সিমেন্ট ব্যবহার করতে হবে। সেখানে

টুকরি দিয়ে ঢালায় কাজ করায় ১২ বস্তা সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ব্রীজের দীর্ঘস্থায়িত্ব ঝুকির মধ্যে পড়েছে। ব্রীজটি যে কোন সময় ভেঙ্গে পড়ার আশংকা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার বাগমারা উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের দেউলিয়া পাকা রাস্তা হতে মীরপাড়া পর্যন্ত ৩৬ ফিট ব্রীজ নির্মান কাজের টপ ঢালায় সিডিউলের শর্ত ভঙ্গ করে সাদা বালি ও ফেরা ব্যবহার না করে টুকরি দিয়ে ঢালায় কাজ করা হচ্ছে এ মর্মে তাৎক্ষনিক ভাবে স্থানীয় জনগণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আহম্মেদকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করে তারা দাবী করেন ব্রীজের অনিয়মের তদন্ত স্বাপেক্ষে কাজ করার অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু তার পরও রহস্যজনক কারণে ব্রীজের টপ ঢালায় এর কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানা যায়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আহম্মেদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে দেখা হবে। কোন অনিয়ম হয়ে

থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, ব্রীজ নির্মাণ করছেন জেরিন এন্টারপ্রাইজের স্বত্তাধিকারী আব্দুল ওয়ারেশ আলী বাবু ওরফে মুরগী বাবু। এ প্রসঙ্গে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী আব্দুল ওয়ারেশ আলী বাবুর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ফেরার পরিবর্তে টুকরি ব্যবহার করা হচ্ছে এটা সিডিউলে না থাকার পরেও আমরা করছি। এ ব্যাপারে পিআইও আমাদেরকে কোন বিধি নিষেধ দেয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) এর বদলীর আদেশ হলেও তিনি এখনও বহাল তবিয়তে নিজ কর্মস্থল বাগমারায় রয়েছেন। এ নিয়ে অনেকের মাঝেই রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আর/এস

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।