খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: ত্রাণের চাল অসহায়দের না দিয়ে স্ত্রীর মাধ্যমে ব্যক্তিগত সমিতির সদস্যদের মাঝে বিতরণের অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বিপুল দাস বরিশালের আগৈলঝাড়ার বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান।
স্থানীয়রা জানায়, সরকারি বরাদ্দের ১০০ প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী অসহায়দের মাঝে বিতরণের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাসকে দেয় উপজেলা প্রশাসন। কিন্তু কিছু বিতরণ করে বাকিগুলো চেয়ারম্যান নিজের ঘরে রেখে দেন। পরে সেগুলো স্ত্রীকে দিয়ে প্রতিষ্ঠিত প্রদ্বীপ্ত মহিলা উন্নয়ন সমবায় সমিতির সদস্যদের মাঝে বিতরণ করেন। চেয়ারম্যানের স্ত্রী ঝুমা দাস ওই সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
নিজের স্ত্রীকে দিয়ে সরকারি চাল বিতরণকে সাজানো নাটক বলে আখ্যায়িত করেছেন সুশীল সমাজের নেতারা। তারা জানান, চেয়ারম্যানের এ কৌশলের কারণে ত্রাণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে প্রকৃত দুস্থ পরিবারের সদস্যরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সমিতির একাধিক সদস্য জানান, দুই মাস আগে উপজেলা থেকে অসহায়দের জন্য কিছু কম্বল আসে। কিন্তু তা না দিয়ে সমিতির সভাপতি দাবিদার সুমা কর নিজেই একাধিক কম্বল নেন।
তারা আরো জানান, প্রতি মাসে ১শ’ টাকা করে দুই মাস চাঁদা দিলেও ত্রাণ বিতরণের মতো সামর্থ্য তাদের সমিতির নেই। এছাড়া ত্রাণ বিতরণের জন্য কোনো সভা বা রেজুলেশনও করা হয়নি। হঠাৎ রোববার বিকেলে সমিতির ১৮ জন ও স্থানীয় দুইজনের মাঝে ১০ কেজি করে চাল, দুই কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ, একটি সাবান ও একটি করে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাস, সংগঠনের সভাপতি দাবিদার সুমা কর, সম্পাদক ঝুমা দাস, কোষাধ্যক্ষ সীমা আক্তার, প্রেস ক্লাবের আহবায়ক আজাদ রহমান, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের উপজেলা সমন্বয়কারী সাইফুল ইসলাম লিটন প্রমুখ।
এ বিষয়ে বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাসের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তা বন্ধ পাওয়া গেছে।
উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রইচ সেরনিয়াবাত বলেন, বিষয়টি জানা নেই। এ ব্যাপারে ইউএনওর সঙ্গে কথা বলে তদন্ত করে দেখা হবে।
খবর২৪ঘন্টা/ বিআ