জেলা প্রতিনিধিঃ বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার নেয়ামতি ইউনিয়নের মহেষপুর বাজারে আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ সুলতান হোসেন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় বিএনপির ৮ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকরা হলেন- নেয়ামতি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাম মৃধা, শেখ জসিম, ফয়সাল হাওলাদার, জহিরুল ইসলাম, সোহেল খান, ইব্রাহীম, কামরুল ইসলাম ও বশির হাওলাদার।
সোমবার ঘটনার পর থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ। এদিকে সকালে ঘটনাস্থল মহেষপুর বাজার পরিদর্শনে যান এসপি সাইফুল ইসলাম। তিনি স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন।
সৈয়দ সুলতান বাকেরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মহেষপুর এলাকার বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার রাতে সুলতান হোসেন ও নেয়ামতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিমল সাহা মহেষপুর বাজারের চায়ের দোকানে বসে কথা বলার পাশাপাশি চা পান করছিল।
এ সময় একদল দুর্বৃত্ত তাদের ওপর হামলা চালিয়ে মারধরের পাশাপাশি সুলতানকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সুলতান মাটিতে লুটিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত নেয়ামতি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিমল সাহা অভিযোগ করেন, বিএনপি নেতা ছালাম সিকদারসহ মুখোশধারী ১০/১২ জন দুর্বৃত্ত অতর্কিত সেখানে গিয়ে তাদের মারধর করতে থাকে। মারধরের একপর্যায়ে তিনি পড়ে গেলে দুর্বৃত্তরা সুলতানকে গুলি করে। সুলতান রাস্তায় লুটিয়ে পড়লে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
শের-ই-বাংলা মেডিকেলের চিকিৎসক শাহে আলম জানিয়েছেন, সুলতানের পেটের মাঝামাঝি স্থান থেকে গুলি বের করা হয়েছে। তার শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হচ্ছে।
এদিকে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন খান জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ নিজেদের দ্বন্দ্বে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেখানে অহেতুক বিএনপি নেতা-কর্মীদের জড়িয়ে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের পুলিশ গ্রেফতার না করে বিএনিপ নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযান চালানোর কারণে সেখানকার বিএনপি নেতা-কর্মীরা এলাকা ছাড়া হয়েছেন। তিনি সত্যিকার ঘটনা উদঘাটন করে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থার নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আজিজুর রহমান জানান, ঘটনার পর থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে আটক করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে। বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তারাও এ মামলায় আসামি হবে। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ঢালাও ভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের আটকের অভিযোগের বিষয়ে ওসি বলেন, ঘটনার সঙ্গে প্রাথমিকভাবে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাচ্ছে তাদের আটক করা হচ্ছে। এদের মধ্যে কে কোন দল করে আমার জানা নেই।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ