ঢাকামঙ্গলবার , ৭ এপ্রিল ২০২০
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পাবনার বোমা সাদৃশ্য বস্তু দুটি আসলে বোমা নয় ; জনমনে স্বস্তি

khobor
এপ্রিল ৭, ২০২০ ৭:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাবনা প্রতিনিধি: দিনভর আতংকের পর অবশেষে জানা গেল পাবনার ঈশ্বরদীতে পাশাপাশি দুটি বাড়িতে রাখা বোমা সাদৃশ্য বস্তু দুটি আসলে বোমা নয়। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে বোমা সাদৃশ্য বস্তু পরীক্ষার পর নিশ্চিত হয়েছেন সেটি বোমা নয়। আর এটি জানার পর জনমনে স্বস্তি ফিরেছে।

৮ সদস্য বিশিষ্ট বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের টিমের প্রধান পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিক হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, এটি মূলত কোন বোমা ছিল না, প্লাস্টিকের কৌটার মধ্যে পোড়া মবিল, জর্দা এবং ইলেকট্রিক বাল্ব দিয়ে সেটি তৈরি এবং পলিথিনে মুড়িয়ে বোমা সাদৃশ্য বস্তু বানানো হয়েছিল।

মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দিয়াড় বাঘইল হাজিপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম প্রামাণিক ও আব্দুল গাফফার প্রামাণিকের বাড়িতে বোমার মত দেখতে দুটি বস্তু চোখে পড়ে। এরপর থেকে জায়গাটি ঘিরে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ, জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি), র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব) ও ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বলেন, ‘যেখানে বোমা সদৃশ্য বস্তু দুটি ছিল, আমরা জানার পর জায়গাটি কর্ডন করে রেখেছিলাম। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পর ঢাকা থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের এক্সপার্টরা বিকেল চারটার কিছু পরে ঘটনাস্থলে আসে। প্রায় পৌনে এক ঘন্টা বস্তু দুটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে এবং তাদের ইলেকট্রিক ডিভাইস দিয়ে সেগুলো নিস্ক্রিয় করেছে। প্রকৃতপক্ষে এটি কোন বোম ছিল না, বোমার আদলে সেটি তৈরি করা হয়েছিল।

এলাকার লোকজন বোমা সাদৃশ্য বস্তু দুটি নিস্ক্রিয় হওয়ার পর সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। এ ধরনের আতঙ্ক যারা সৃষ্টি করেছে তাদেরকে খুঁজে বের করে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বলেন, কোন কুচক্রি মহল এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্যে কাজটি করেছে। যারাই এই ঘৃনিত কাজ করেছে, তাদেরকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।

খবর২৪ঘন্টা/নই

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।