ঢাকাশুক্রবার , ২৫ অক্টোবর ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নাটোরের সিংড়ায় শিশু হত্যা মামলার আসামী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার

অনলাইন ভার্সন
অক্টোবর ২৫, ২০১৯ ৩:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নাটোর প্রতিনিধি: ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানাধীন শনির আখড়া এলাকা হতে শিশু হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে সিংড়া থানা পুলিশ। গত জুন মাসের ১৪ তারিখে সিংড়া থানার শেরকোল ইউনিয়নের পুঠিমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয়‌ শ্রেণীর শিক্ষার্থী মোঃ হেদায়েত আলী (১০) তার সৎ ভাই মোঃ ইছহাক আলী @ সুবোল এর হাতে খুন হন। পরিবারের লোকজন এবং এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায় যে, নিহত শিশুর পিতা আব্দুল কাদের প্রামানিক তার বসতবাড়ির জমি কনিষ্ঠ ছেলে মোঃ হেদায়েত আলী এর নামে হস্তান্তর

করে দেয়ার জন্য মনস্থির করেন। এতে তার পিতা এর সাথে আসামি ইছাহাক আলী এর বিবাদের সূত্রপাত হয়। এ পূর্বশত্রুতার জেরে ঘটনার দিন সকাল অনুমান ৭ ঘটিকায় আসামি তার সৎ ভাইকে ঘুমন্ত অবস্থায় শাবল দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে পালিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন এবং এলাকাবাসীর সহায়তায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য

রাজশাহী মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দিনই দুপুর অনুমান ১২ ঘটিকায় শিশু হেদায়েত আলী মৃত্যুবরণ করে। সিংড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ জামিল আকতার জানান যে, হত্যা সংবাদটি থানায় দেরিতে আসায় আসামি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তাকে ধরার জন্য আমরা চেষ্টা অব্যাহত রাখি। তার গতিবিধি আমরা সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করি। গত তিন মাস যাবত ‌ আসামি রাজশাহীর

চারঘাট এলাকা, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানা এবং যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল এলাকায় ঘনঘন অবস্থান পরিবর্তন করে। নিহতের পরিবারের লোকজন আমাদেরকে সুস্পষ্ট তথ্য দিতে না পারায় আমাদেরকে বেশ বেগ পেতে হয়। তথ্যপ্রযুক্তি বিশ্লেষণের মাধ্যমে আসামির সাথে যোগাযোগ হয় এমন একজনকে আমরা সনাক্ত করি। এই সূত্র ধরে গত ২৩ তারিখে  অভিযান পরিচালনা করি এবং রাজধানীর সূত্রাপুর থানাধীন ধোলাইখাল এলাকায়  অবস্থিত মানিক মোটরসের দোকানের কর্মী বোরহানউদ্দিন সুমনকে আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসি।

তার মাধ্যমে আমরা জানতে পারি আসামি যাত্রাবাড়ী থানার মাতুয়াইল ও শনিরআখড়া এলাকায় রিক্সা চালায়। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আমরা অভিযান পরিচালনা করি এবং গত ২৪ তারিখে শনিরআখড়া এলাকার ছনটেক স্থানের এক গোডাউন ঘরের সামনে থেকে তাকে আমরা গ্রেপ্তার করি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে আমাদের কাছে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আমরা বিজ্ঞ আদালতে‌ তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে  চার্জশিট দাখিল করার প্রস্তুতি চলছে।

এই শিশু হত্যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। তাকে গ্রেফতারের মাধ্যমে জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে।

খবর২৪ঘণ্টা, এমকে

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।