সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকারবিবার , ২৮ এপ্রিল ২০২৪
আজকের সর্বশেষ সবখবর

থানায় বিচার না পেয়ে পুলিশ কমিশনারের কাছে ভুক্তভোগীর অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
এপ্রিল ২৮, ২০২৪ ১:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজশাহী মহানগরীর রামচন্দ্রপুর (কেদুরমোড়) এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাইদুজ্জামান এর উপস্থিতিতে একজন গৃহবধূকে ইভটিজিং করার অভিযোগ উঠেছে। গত ১২ই এপ্রিল রাত্রি আনুমানিক ৮টার সময় চা দোকানী মো: আনোয়ারুলের চায়ের দোকানে তার পুত্রবধূ সালমাকে বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সাইদুজ্জামানের উপস্থিতিতে জয় ও আলিফ নামের দুইজন বখাটে ইভটিজিং করে বলে অভিযোগ করেন চা দোকানী আনোয়ারুল। অভিযুক্ত জয় কেদুরমোড় এলাকার মো: বাবু এবং আলিফ অত্র এলাকার জয়নালের ছেলে।

এই ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানার কোন সহযোগিতা না পেয়ে  রাজশাহী মট্রাপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার এর কাছ লিখিত অভিযাগ করেছে ভুক্তভাগী গহবধূর শ্বশুর আনায়ারুল। আনায়ারুল নগরী বোয়ালিয়া মডল থানাধীন কেদুর মোড়ের আমজাদ হাসনর ছল।

আনোয়ারুল অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্তরা তার বড় ছেলে রাজন এর স্ত্রী সালমাকে তার চায়ের দোকানে ইভটিজিং করে। ঘটনার সময় সেখানে বোসপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির এসআই সাইদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন। আনোয়ারুল আরও অভিযোগ করেন, তিনি এসআই সাইদুজ্জামানের কাছে সহযোগিতা চেয়েছিলেন কিন্তু তিনি সহযোগিতা করেননি। একপর্যায়ে আনোয়ারুলের দুই ছেলে রাজন ও সজল ঘটনাস্থলে আসলে তাদের সাথে জয় ও আলিফের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরবর্তীতে জয় ও আলিফের

নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের একটা সশস্ত্র দল এসআই সাইদুজ্জামানের উপস্থিতিতেই চা দোকানী মো: আনোয়ারুল ও তার ছেলেদের উপর চড়াও হয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে।পরবর্তীতে স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির সহায়তায় তাদের প্রথমে বোয়ালিয়া থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর আনোয়ারুল ও তার পুত্রবধূ সালমা বাদি হয়ে জয় ও আলিফ কে আসামি করে পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন। মো: আনোয়ারুলের অভিযোগ অভিযুক্ত আলিফ একজন চিহ্নিত ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে একাধিক ছিনতাই মামলা রয়েছে।

কিন্তু, সে এসআই সাইদুজ্জামানের সোর্স হিসেবে কাজ করে ফলে তার বিরুদ্ধে ঘটনার সময় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় নি। আনোয়ারুল অভিযোগ করে বলেন, এসআই সাইদুজ্জামানের সহযোগিতায় ১৩ এপ্রিল রাতে তার বড় ছেলে রাজনকে একটি পুরনো পেন্ডিং মামলায় র‍্যাব দিয়ে আটক করে চালান দেয়। আনোয়ারুল বলেন তার ছেলে রাজন ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ করে।

আনোয়ারুল আরও বলেন, তাদের করা মামলার কোনো সুষ্ঠ  তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় নি। আনোয়ারুল জানান, তারা আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে বোয়ালিয়া থানায় গেলেও এসআই সাইদুজ্জামান থানায় প্রভাব খাটিয়ে মামলাটি সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে আসামিদের ব্যবস্থা গ্রহণে বাধা সৃষ্টি করছেন। এই সকল অভিযোগের বিষয়ে এসআই সাইদুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন।

এ বিষয়টি নিয়ে বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ প্রমাণিত হলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জ/ন

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।