ঢাকাশুক্রবার , ৫ এপ্রিল ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বেফাঁস মন্তব্য ম্যারাডোনার

omor faruk
এপ্রিল ৫, ২০১৯ ২:২৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক :

কিছুদিন পর পর উদ্ভট কাণ্ডকীর্তি করে বা বেফাঁস মন্তব্য করে ম্যারাডোনা আলোচনায় আসবেন না, এ হতে পারে না। এবার ম্যারাডোনার কথার তীর থেকে রক্ষা পেলেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।

সেদিন ম্যারাডোনার ক্লাব দোরাদোস দে সিনেলোয়ার সঙ্গে তাম্পিকো মাদেরোর ম্যাচ ছিল। ম্যাচটা ৩-২ গোলের ব্যবধানে জিতে মেক্সিকোর দ্বিতীয় বিভাগীয় লিগের চতুর্থ স্থানে চলে এসেছে ম্যারাডোনার দল। ম্যাচের পর দলের ড্রেসিংরুমে আনন্দ করতে গিয়ে খুব সম্ভবত একটু বেশিই মদ্যপান করে ফেলেছিলেন ম্যারাডোনা। মাতাল হয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসেই কোচ ম্যারাডোনা চোখের পলকে হয়ে গেলেন রাজনীতিবিদ! ফুটবল নিয়ে কথা বলা বাদ দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ভেনিজুয়েলার অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক টানাপোড়েন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্পকে ধুয়ে দিয়েছেন তিনি।

দক্ষিণ আমেরিকার বামপন্থী নেতাদের সঙ্গে ম্যারাডোনার দহরম-মহরম আজকের নতুন নয়। এক কালে কিউবার প্রেসিডেন্ট ফিদেল কাস্ত্রোকে নিজের ‘দ্বিতীয় পিতা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন। কিউবার রাজধানী হাভানায় নিয়মিত যাতায়াত করতেন তিনি। এক সময় চিকিৎসার জন্য সেখানে তিনি দীর্ঘ দিন থেকেছিলেন। সম্প্রতি সেখানে এক মহিলার গর্ভজাত দুজন সন্তানকে নিজের বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন তিনি। সেই ম্যারাডোনা এখন মজেছেন মাদুরোয়। মাদুরো এখন ম্যারাডোনার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। কিছুদিন আগে ভেনেজুয়েলায় গিয়ে বন্ধু মাদুরোর হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায়ও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। যে নির্বাচনের ফলাফলকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাখ্যান করে ঘোষণা দিয়েছেন, এ নির্বাচন অবৈধ। এই মুহূর্তে ভেনেজুয়েলা তীব্র রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মাদুরোর বিরুদ্ধে সক্রিয় যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যে দেশটির বিরোধী নেতা হুয়ান গুয়ার্দোকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। যেটা আবার রাশিয়া, তুরস্ক, চীনের মতো দেশগুলো মানেনি। এমনকি ভেনেজুয়েলায় সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মাদুরোকে উৎখাত করার চেষ্টায় আছে যুক্তরাষ্ট্র, এমন অভিযোগও উঠেছে। ম্যাচশেষের সংবাদ সম্মেলনটাকে পুরোপুরি রাজনৈতিক সভা বানিয়ে ছেড়েছেন ম্যারাডোনা, ‘এই জয় আমি নিকোলাস মাদুরো আর ভেনেজ়ুয়েলার মানুষকে উৎসর্গ করছি। যারা এই মুহূর্তে প্রচণ্ড কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।’

মাদুরোকে সমর্থন করতে গিয়ে ম্যারাডোনা একচোট নিয়েছেন ট্রাম্পকেও, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের দুনিয়ার শেরিফ (প্রধান) মনে করে। সবাইকে বলে বেড়ায়, বিশ্বের সব চেয়ে শক্তিশালী বোমা তাদের কাছে আছে। যে কোনো সময় সেই বোমা কোনো জায়গায় ফেলে দিতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন, আমাদের সঙ্গে সেটা কিছুতেই হতে দেব না।’

এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করে ছাড় পাচ্ছেন না ম্যারাডোনা। মেক্সিকোর ফুটবল ফেডারেশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি ম্যারাডোনার করা এই মন্তব্যের তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। ফেডারেশনের আইনে রয়েছে, ফুটবলের সঙ্গে জড়িত সবাইকে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় বিষয়ে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। তদন্তে ম্যারাডোনা দোষী সাব্যস্ত হলে আর্জেন্টিনার এই কিংবদন্তি ফুটবলার নির্বাসিত হতে পারেন। অথবা হতে পারে আর্থিক জরিমানা।

চিরকালই বিতর্ককে সঙ্গী করে চলা ম্যারাডোনার তাতে বয়েই গেছে!

খবর ২৪ ঘণ্টা/এস

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।