সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকামঙ্গলবার , ১৫ জানুয়ারি ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

টিআইবির নির্বাচন পর্যালোচনা প্রতিবেদন- ৫০ আসনের ৪৭টিতেই অনিয়ম

অনলাইন ভার্সন
জানুয়ারি ১৫, ২০১৯ ৭:০৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির নির্বাচন পর্যালোচনা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যে ৫০ টি আসনে গবেষণা করা হয়েছে এর মধ্যে ৪৭টিতেই কোন না কোন অনিয়মের তথ্য পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৪২টি আসনের একাধিক কেন্দ্রে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর ভূমিকা ছিলো নীরব। ৪১ টি আসনে জাল ভোট দেয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগের রাতে সিল মেরে রাখা হয় ৩৩ আসনে। বুথদখল ও জালভোট পড়ে ৩০ আসনে। পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্রে যেতে বাধা ও কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয় ২৯ আসনে। ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা ও জোর করে নির্দিষ্ট মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করা হয় ২৬ আসনের।

ভোট শেষ হওয়ার আগেই ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায় ২২টি আসনের একাধিক কেন্দ্রে । এ সব অনিয়মের ব্যাপারে বিচারবিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করেছেন টিআইবি।

আজ ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পর্যালোচনা’ শীর্ষক প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান জানান, দৈবচয়নের মাধ্যমে ৩০০ টি আসনের মধ্যে ৫০ টি আসনে এই পর্যালোচনা করা হয়। এর মধ্যে ৪৭ টি আসনেই কোন না কোন অনিয়ম হয়েছে। তিনি বলেন, এটাকে আংশিক অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা যেতে পারে, কারণ সবদলের প্রার্থী অংশ নিলেও সবার সমান প্রচারণার সুযোগ ছিলো না। বিশেষ করে ভোটারদেরও তাদের অধিকার অনুযায়ী, পছন্দ অনুযায়ী ভোট দেয়ার সমান সুযোগ ছিলো না। কোন কোন কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টদের ঢুকতে দেয়া হয়নি।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালটে সিল মারা, অনেক কেন্দ্রে ভোটারকে ভোট দিতে না দেয়া, বুধ দখল করে প্রকাশ্যে সিল মারা, জোর করে নির্দিষ্ট মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করা হয়েছে। অনিয়ম তুলে ধরে বলেন, ভোট শুরুর আগেই কোথাও কোথাও ব্যালট বাক্স্র ভর্তি হয়ে যায়, ভোট শেষ হওয়ার আগেই ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায়। নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা তুলে ধরে টিআইবর নির্বাহী পরিচালক বলেন, তাদের প্রত্যাশিত নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনে ব্যর্থতা দেখা গেছে।

বিশেষ করে সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র তৈরী করতে নির্বাচন কমিশন যথাযথ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। তার যথেষ্ঠ তথ্য রয়েছে বলেও উল্লেখ করে তিনি। বলেন, প্রতিপক্ষকে দমনে সরকারি দলের সহায়ক অবস্থানে দেখা গেছে কমিশনকে। সবদলের প্রার্থীদের সমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেনি তারা। আচরণবিধি পালনের ক্ষেত্রে বৈষম্যমূলক আচরণ দেখা গেছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরীতে ব্যাপক ব্যর্থতা দেখা গেছে এবং এ ব্যাপারে কমিশনের ভেতরে মতদ্বৈততা লক্ষ্য করা গেছে- এটা অভূতপূর্ব বিষয়।

খবর২৪ঘণ্টা, জেএন

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।