খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর নাশকতার মামলায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী আছেন ৬৩ দিন ধরে। অথচ কারাগারে যাওয়ার ১২ দিন পর গত ২ নভেম্বর চান্দগাঁও থানা এলাকায় ককটেল ছোড়ার ঘটনায় হাশেম জড়িত বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ! এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অসীম দাশ। পরে আদালত এসআই অসীম দাশের কাছে কারণ জানতে চাইলে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তিনি নিজের ‘অনিচ্ছাকৃত’ ভুলের জন্য আদালতের কাছে ক্ষমা চান। গত রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে এই ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর নাশকতার মামলায় গত ২২ অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। কারাগারে যাওয়ার ১২ দিন পর অর্থাৎ (২ নভেম্বর) চান্দগাঁও থানা এলাকায় ককটেল ছোড়ার একটি ঘটনার মামলায় আদালতে তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেছিল পুলিশ।
পুলিশের আবেদনে বলা হয়, গত ২ নভেম্বর চান্দগাঁও থানা এলাকায় ককটেল ছোড়ার ঘটনায় হাশেম জড়িত বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হোক। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আদালতে হাজির হয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন মামলার বাদি সেই পুলিশ কর্মকর্তা। এরপর তিনি গ্রেফতার না দেখানোর আরেকটি আবেদন করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ওই আবেদনের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল বোরবার। হাশেমকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। আসামির আইনজীবীরাও প্রস্তুত ছিলেন; কিন্তু শুনানি শুরু হওয়ার আগে হাশেমকে এই মামলায় গ্রেফতার না দেখানোর আবেদন করেন এসআই অসীম দাশ। এ সময় আসামির আইনজীবী আবদুস সাত্তার আদালতকে বলেন, একের পর এক ‘গায়েবি’ মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করছে পুলিশ। সাজানো মামলায় গ্রেফতার দেখাতে গিয়ে পুলিশ নিজেই ফাঁদে পড়ে গেল।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন