ঢাকাবৃহস্পতিবার , ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গোপালপুর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলে টাকার পরিবর্তে চিনি

অনলাইন ভার্সন
ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৯ ২:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: তিন মাসের বেতন বকেয়া রেখেই নাটোরের লালপুর উপজেলার গোপালপুর নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের মুজুরী কমিশনের শ্রমিক-কর্মচারীদের ২০১৬ সালের ১ জুলাই খেকে বিভিন্ন খাতের অতিরিক্ত পাওনা বাবদ টাকার পরিবর্তে চিনি প্রদান করেছে কর্তৃপক্ষ। আর এ চিনি শতকরা ৮-১০ টাকা কম দামে বাজারে বেচতে হচ্ছে তাদের। ফলে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি গ্রস্থ হয়েছেন মুজুরী কমিশনের প্রায় সোয়া তিন’শ শ্রমিক-কর্মচারী।

নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের মুজুরী কমিশনের কর্মচারী ও মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের সংগঠন সিবিএ এর সাধারণ সম্পাদক, স্বপন পাল এ প্রতিবেদককে জানান, ২০১৫ সালের ১ জুলাই থেকে পে স্কেল ঘোষনা হলেও মুজুরী কমিশনের বেতন স্কেল অনেক পরে ঘোষনা করা হয়। ফলে মিলের মুজুরী কমিশনের প্রায় সোয়া তিন’শ শ্রমিক-কর্মচারীরা বাড়তি বেতনের বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসাভাতা, উৎসব ভাতাসহ অন্যান্য বিষয়ের টাকা পাওনা ছিল। দুই বছর পরে সেই পাওনা টাকার একটা অংশ পরিশোধের জন্য টাকার পরিবর্তে চিনি নেয়ার প্রস্তাব করে মিল কর্তৃপক্ষ। এহন পরিস্থিতিতে এক রকম বাধ্য হয়েই তা গ্রহন করে শ্রমিক-কর্মচারীরা। মিলে মুজুরী কমিশনের আওতায় স্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছে ১৫৪ জন এবং মৌসুমি রয়েছে ১৬৯ জন। স্থায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রত্যেককে ৬০ হাজার টাকার পরিবর্তে ১২০০ কেজি এবং মৌসুমি শ্রমিক-কর্মচারীদের প্রত্যেককে ৪০ হাজার টাকার পরিবর্তে ৮০০ কেজি করে চিনি প্রদান করা হয়।

মুজুরী কমিশনের একাধিক শ্রমিক-কর্মচারীরা জানান, চিনি না নিয়ে উপায় নেই, মিল চিনি বিক্রি করতে পারছেনা, তাই মিলে নগদ টাকা নেই। এদিকে তিন মাসের বেতন বকেয়া পড়ে আছে, তাই অগত্য বেঁচে থাকার তাগিদে অর্থনৈতিক ক্ষতি হলেও বিগত বছরের বাড়তি পাওনা হিসাবে টাকার বিপরিতে চিনিই নিলাম। তারা আরো জানান, প্রতি কেজি ৫০ টাকা দরে চিনি গ্রহন করে ৪৫-৪৬ টাকা দরে বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে করে তাদের শতকরা ৮-১০ টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে।

এ বিষয়ে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল জানান, মিলে চিনি মজুদ আছে, কিন্তু বাজারে চিনি বিক্রি করতে পারছিনা, তাই মিলে নগদ টাকার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মুজুরী কমিশনের শ্রমিক-কর্মচারীরা উদ্যোগী হয়েই তাদের অতিরিক্ত পাওনা টাকার বিপরীতে চিনি নিতে আগ্রহী হয় বিধায় তাদেরকে চিনি দেওয়া হয়েছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানান,টাকার ব্যবস্থা হলেই কৃষকের পাওনা ও শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন বাবদ পাওনা পরিশোধ করা হবে।

খবর ২৪ঘণ্টা/ জেএন

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।