খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: গরু চুরির অভিযোগে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বর) ও একই ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতিকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। আজ মঙ্গলবার তাঁদের দুজনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ওই ইউপি সদস্যের নাম মো. শাহাবুদ্দিন ব্যাপারী (৩৭)। ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির নাম মো. আবু জাফর (৪০)।
তাঁরা দুজনই একটি গরু চুরি মামলার আসামি এবং চরাঞ্চলের চোরচক্রের প্রধান দুই হোতা বলে বাউফল থানার পুলিশ জানিয়েছে। তাঁরা দুজনই পলাতক ছিলেন।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাতে চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের ডিয়ারা কচুয়া গ্রামের ইউনুচ জোমাদ্দারের (৪৮) গোয়ালঘর থেকে একটি গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় মো. ইউনুচ (৪৫) নামের এক ব্যক্তিকে স্থানীয় লোকজন ধরে ফেলে। ওই সময় ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন ও যুবলীগ নেতা আবু জাফর পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় শাহাবুদ্দিনের ব্যবহৃত মুঠোফোনটি পড়ে যায়, যা পেয়ে যায় স্থানীয় লোকজন।
ইউনুচকে আটকের পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আরও ছয়টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়। পরে এসব গরুসহ আটক ইউনুচকে ওই রাতেই ইউপির চেয়ারম্যানের কাছে সোপর্দ করা হয়। খবর পেয়ে রোববার দুপুরে ইউনুচকে বাউফল থানার পুলিশ নিয়ে আসে এবং উদ্ধার হওয়া ছয়টি গরু ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম-পুলিশ মো. হাবিবুর রহমানের জিম্মায় রেখে যায়।
ঘটনার পর পলাতক ছিলেন শাহাবুদ্দিন ও আবু জাফর। গতকাল সোমবার রাতে ইউপির চেয়ারম্যান আলকাচ মোল্লার নির্দেশে স্থানীয় লোকজন প্রথমে শাহাবুদ্দিন এবং পরে আবু জাফরকে পৃথক দুই স্বজনের বাড়ি থেকে আটক করে এবং আজ সকালে পুলিশে সোপর্দ করে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাউফল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. কবির হোসেন বলেন, ‘এরা (শাহাবুদ্দিন ও আবু জাফর) চরাঞ্চলের চোরচক্রের প্রধান দুই হোতা। তাদের সঙ্গী অন্যান্য চোর ও উদ্ধার করা ছয় গরুর মালিক শনাক্ত করতে জিজ্ঞাসাবাদে তাঁদের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন জানানো হবে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ