ঢাকাসোমবার , ২৪ জুন ২০১৯
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: মিনু

omor faruk
জুন ২৪, ২০১৯ ১০:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) আয়োজিত ‘সংবাদপত্রের কালো দিবস ও বর্তমান প্রেক্ষিত’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, দেশে এখন গণতন্ত্র বলতে কিছু নেই, নেই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা। অবৈধ ও অগণতান্ত্রিক বর্তমান সরকার মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তারা আসলে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যম এখন ইতিহাসের সবচেয়ে ক্রান্তিকাল পার করছে। এই সরকারের কালো থাবায় গণমাধ্যম পুরোপুরি শৃঙ্খলিত। অগণতান্ত্রিক সরকারের সামনে অসহায় আত্মসমর্পন করতে হচ্ছে

সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানকে। তাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। গতকাল সোমবার (২৪-০৬-২০১৯) বিকেলে নগরীর সোনাদিঘি মোড়ে অবস্থিত আরইউজে কার্যালয়ে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাবেক ডিন প্রফেসর ড. এসএম আব্দুর রাজ্জাক এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আরবী বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো: নিজাম উদ্দিন। এতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সরদার আবদুর রহমান। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মুহা: আব্দুল আউয়াল। প্রবন্ধ পাঠ করেন আরইউজের যুগ্ম সম্পাদক ও বিএফইউজে’র নির্বাহী সদস্য ড. সাদিকুল ইসলাম স্বপন।

এতে নির্ধারিত বিষয়ের ওপর বক্তব্য রাখেন ডক্টর্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় নেতা ডা. ওয়াসিম হোসেন, রাবি’র আরবী বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. ইফতিখারুল আলম মাসউদ, আরইউজে’র কোষাধ্যক্ষ মঈন উদ্দিন, রাবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম জয়, জুবায়ের জামিল প্রমুখ। এছাড়া রাজশাহীতে কর্মরত বিভিন্ন প্রিণ্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মিজানুর রহমান মিনু আরো বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নভেম্বরের সিপাহী-জনতার বিপ্লবে ক্ষমতাসীন হয়ে সংবিধানে এ দেশের কাঙ্খিত বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন করেন। শুধু তাই নয়, বাকশাল সরকারের সকল প্রকার অগণতান্ত্রিক কালো ধারা বাতিল এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,

দেশ স্বাধীন হওয়ার মাত্র তিন বছর পার হতে না হতেই ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংসদে আনা হয়েছিলো সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী। গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সম্পূর্ণ পরিপন্থী উক্ত সংশোধনীর ফলে জাতির ঘাড়ে চেপে বসে একদলীয় শাসনব্যবস্থা ‘বাকশালের’ জগদ্দল পাথর। এরই ধারাবাহিকতায় ওই বছর ১৬ জুন বিতর্কিত বাকশাল সরকার সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে দেয়। সরকারি প্রচারপত্র হিসেবে ৪টি পত্রিকা সরকারি ব্যবস্থাপনায় প্রকাশ করে। এতে হাজারো সাংবাদিক রাতারাতি বেকার হয়ে দু:সহ জীবনে

ত হন। সংবাদমাধ্যম ও বাক-স্বাধীনতা হরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি একটি কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত। তারা আরো বলেন, গত প্রায় ১১ বছরে জনপ্রিয় সংবাদপত্র, বেসরকারি টেলিভিশন, অনলাইন নিউজ পোর্টাল বন্ধ করে কয়েক হাজার সাংবাদিককে বেকারত্বের মুখে ঠেলে দিয়েছে। ১৯৭৫ সাল আর বর্তমান শাসনামলের মধ্যে মৌলিক কোনো পার্থক্য নেই।

আর/এস

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।