ঢাকারবিবার , ৩০ অক্টোবর ২০২২
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার: আরএমপির চন্দ্রিমা থানার পুলিশ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ৩০, ২০২২ ৮:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে ৫০০ গ্রাম হেরোইনসহ (আরএমপির) চন্দ্রিমা থানার এক পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

অভিযানে আরও ৫০০ গ্রাম হেরোইনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ৩ জনের কাছে উদ্ধার হওয়া ১ কেজি হেরোইনের মুল্য প্রায় কোটি টাকার বেশি।

রোববার (৩০ অক্টোবর) জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হাই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারের পর ওই পুলিশ সদস্যর তথ্যের ভিক্তিতে আরও ৫০০ গ্রাম হেরোইনসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত নূর নবী (২৮) গোদাগাড়ী উপজেলার সারেংপুর পুলিশপাড়া মহল্লার বাসিন্দা। তিনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) চন্দ্রিমা থানায় কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত। তবে মাদকসহ গ্রেপ্তারের ঘটনায় চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন তিনি।

গ্রেপ্তারকৃত অন্য দুজন হলেন একই উপজেলার জোত গোতাইসাহ এলাকার তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মিঠুন আলী (৩২) ও সারাংপুর পুলিশ পাড়া এলাকার মৃত আবদুল সাত্তারের ছেলে রবিউল ইসলাম (৩৩)।

চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরান আলী জানান, নূর নবী সাত দিনের ছুটিতে গোদাগাড়ীতে গিয়েছিলেন। সেখানে হেরোইনসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন।

এব্যাপারে, গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম খবর২৪ঘন্টাকে বলেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার তিন আসামির মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হাই বলেন, শনিবার রাতে নূর নবীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও দুজন গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে আরও ৫০০ গ্রাম হেরোইন জব্দ হয়। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর গোদাগাড়ী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

এর আগে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) একাধিক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মাদক মাদকসংশ্লিষ্টার অভিযোগে ধারাবাহিক ভাবে খবর প্রকাশ করে আসছে খবর২৪ঘন্টা। উর্ধতন কর্মকর্তারা এসকল অসাধু পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ আমলে না নেয়ায় রহস্যের সৃষ্টি হয় আরএমপি জুড়ে।
অসাধু পুলিশ সদস্যরা মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থেকে গড়েছেন অঢেল সম্পদ। গেছেন বিলাসবহুল গাড়ি-বাড়ির মালিক বনে। তবে ধারাবাহিক ভাবে খবর প্রকাশের পরেও আরএমপির উর্ধতন কর্মকর্তারা এসকল
অসাধু পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করছে না কেন? এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে জনমনে।
বিএ/

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।